তারেক রহমানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন তিনি বলেন, সরকার চোর-ডাকাতকে মুক্তি দিচ্ছে কিন্তু তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করুন। অন্যথায়, একবার মাইর শুরু হলে রেহাই পাবেন না।”
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, “গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি। কারো রাজত্ব করার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। দেশে স্বৈ/রাচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। এখন দড়ি টানার পালা। বর্তমান সরকারের হীরক রাজার মতো অবস্থা হবে।
তিনি আরও বলেন, “এই অনুষ্ঠানে পৌঁছতে আমাকে আড়াই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা প্রাক-বিজয়ের পূর্ব উৎসব করছি। দেশের মানুষ আজ উচ্ছ্বসিত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “আমি ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) কাছে বলে এসেছি, ‘দেশের মানুষ আপনাকে নিয়ে চিন্তিত। আপনি দেশের জন্য যা করেছেন তা জনগণ ভুলবে না। এই সরকার জাতীয় নেত্রীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।’ একদফার আন্দোলন চূড়ান্ত করে দেশের মানুষ ঘরে ফিরবে, ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আমরা এক দফা দাবিতে রাজপথে নেমেছি। তারেক রহমান মৃ/ত বিএনপিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। ফ্যা/সিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে হ/ত্যা করা হয়েছে। ৪০ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না, তার একটাই কারণ।
খুলনা অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রোডমার্চ শুরু হয়।