ভারতের তামিল সুপারস্টার ধানুশ। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিনোদন জগতের সাথে কাজ করছেন। এবং অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। তিনি সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক এবং সুরকার হিসেবেও কাজ করে থাকেন। সম্প্রতি তার বিবাহ-বিচ্ছেদকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি। এই বিবাহ বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে এবার বেশ কিছু কথা জানালেন ধানুশের স্ত্রী ঐশ্বরিয়া।
১৭ জানুয়ারী তামিল সুপারস্টার ধানুশ মেঘা সুপারস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়ার সাথে তার ১৮ বছরের বিবাহের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন। হতাশ ভক্তরা তাদের পরিবার ভেঙে যাওয়ার খবরে। বেরিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর খবর। ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, ‘থালাইভা’ নামে পরিচিত রজনীকান্ত তার মেয়ে জামাইয়ের সাথে দেখা করতে এবং কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধানুশ রাজি হননি। সোমবার রাতে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া লিখেছেন, ‘১৬ বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস। বন্ধু, দম্পতি এবং অভিভাবক হিসাবে। পাশাপাশি একে অপরের প্রতিও। এই যাত্রা শুধুমাত্র একে অপরকে সঙ্গ দেওয়া, বোঝার এবং বেড়ে ওঠার জন্য। এটি একে অপরের জন্য নিজেদের মধ্যে ছোট পরিবর্তন করার এবং তারই সঙ্গে মিলেমিশে যাওয়ার দিন ছিল। আজ আমরা দুজনে একটা মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা দম্পতি হিসাবে একটি ভিন্ন পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নিজেকে অনন্যভাবে চিনতে সময় নেব।
অপরদিকে একই বিবৃতি পোস্ট করেছেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। বিবৃতিতে তিনি নিজের নাম ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত লিখেছেন। ক্যাপশনে রজনীকান্ত কন্যা লিখেছেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। শুধু আপনারা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং আপনাদের ভালোবাসা প্রয়োজন।’
শোনা যাচ্ছে, আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন না ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। তারা আইনের চোখে দম্পতি থাকতে চান। যাত্রা রাজা (১৬) এবং লিঙ্গ রাজা (১২) এক ছাদের নীচে না থেকে তাদের সন্তানদের যত্ন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে ধানুশের বাবা তামিল পরিচালক কস্তুরি রাজা বলেছেন, ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে না। দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বেঁধেছে কেবল। তবে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রজনীকান্ত তার জামাই ধানুশের সঙ্গে দেখা করে বিবাদ মেটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধানুশ বারবার শ্বশুরকে এড়িয়ে গেছেন। কারণ তিনি রজনীকান্তকে অপমান করতে চান না।
ভারতের বিনোদন জগতের মেঘা সুপারস্টার রজনীকান্তের জামাই ধানুশ। এই জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিকা নানা দ্বন্ধের মধ্যে দিয়ে সময় পার করছেন। এরই সূত্র ধরে তারা সংসার জীবনের ইতি টানছেন। এখনই তারা আইনি ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন না। তবে একে অন্যের সঙ্গে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।