মা/দক ও ব্ল্যাকমেইলিং মামলায় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০২১ সালের ১ আগস্ট মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ম/দ, ই/য়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মা/দকসহ মৌ আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মা/দকের মামলা হয়।
এ সময় পুলিশ জানায়, মৌ মডেলিংয়ের নামে উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর পার্টির অজুহাতে তাদের বাড়িতে ডেকে নিতেন। সেখানে ম/দসহ নানা ধরনের মা/দক সেবন ও ‘আপত্তিকর’ ছবি তুলতেন। পরে তাদের টাকা বা বিভিন্ন সুবিধা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করত।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মৌ-এর ১১টি বিয়ে ছিল। তার শেষ স্বামী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তিনি ধনী ব্যক্তিদের বিয়ে করতেন। মোটা অংকের সম্পদ হস্তগত করার পর আরেকজনকে বিয়ে করেন।
আয়ের কোনো দৃশ্যমান উৎস না থাকলেও মোহাম্মদপুরে তার একটি বিলাসবহুল পাঁচতলা বাড়ির মালিক। নেক্সাস, পাজেরো এবং টয়োটা ব্র্যান্ডের তিনটি দামি গাড়িও রয়েছে।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, মডেলিং পেশার আড়ালে ব্ল্যাকমেল করে কোটি টাকা চুরি করতেন মৌ। মা/দক ও অবৈধ ব্যবসায় তার জড়িত থাকার কিছু প্রমাণ ইতোমধ্যে গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।
ডিবি পুলিশ জানতে পারে মৌর নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত সুন্দরী তরুণী রয়েছে। তারা ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ভিডিও রেকর্ড করত। টাকা না দিয়ে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হু/মকি দেন। এভাবে তিনি অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চুরি করেন।
ঘরে ঢুকলেই ড্রয়িংরুমের পাশে একটি মিনি বার দেখা যায়। বাড়ির ভিতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ই/য়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে গোয়েন্দারা। এ ছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে থাকা আরেকটি ড্রেসিংরুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি ম/দ উদ্ধার করা হয়েছে।