দেশের অন্যতম বড় সার কারখানা চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি (সিইউএফএল) গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। যান্ত্রিক সমস্যার কারণে আগে কিছু দিনের জন্য বন্ধ ছিল সিইউএফএল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কারখানাটি আবার বন্ধ করা হয়। গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
গ্যাসের কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকলেও এত দিনে গ্যাসের কোনো সংকট ছিল না। এখন শুরু হয়েছে। আজ (২০ জুলাই) সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ কম ছিল। অন্যদিকে গ্যাসের অভাবে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় গ্যাস চলে যায়। বিকেলেও জ্বলছে। রান্না করার উপায় নেই। বাইরে থেকে খাবার কিনে আনতে বাধ্য হয়েছি’- বলেন গ্রিন রোডের বাসিন্দা জেসমিন পাপড়ি। প্রায় একই অভিযোগ করেন রায়েরবাজারের বাসিন্দা মহিবুল আলম। তিনি বলেন, সকাল থেকে গ্যাসের চাপ খুবই কম। এটা রান্না করা একটি সংগ্রাম. পানি গরম হতে অনেক সময় লাগে। রাজধানীর সেন্ট্রাল রোড, নর্থ রোড, নর্থ সার্কুলার রোড, ভূতের গলি ও ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকা থেকেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, আমাদের মোট গ্যাসের চাহিদা প্রায় ১৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে গড়ে ১৬২৬ মিলিয়ন পাচ্ছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেশন হচ্ছে, সিএনজি আগে থেকেই রেশনের আওতায় ছিল। এখন কিছু আবাসিক এলাকায় গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। এটা সাময়িক। সকালে তা কমলেও বিকেলে বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। এদিকে গ্যাস সংকটের কারণে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাত ১০টা থেকে এই কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি জানায়, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। আগে সিইউএফএল ৪১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করত।
উল্লেখ্য, সিইউএফএল সূত্রে জানা গেছে, কারখানার ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া প্লান্টে পূর্ণ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ৪৭-৪৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কারখানার পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সিইউএফএলে সার উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রতিদিন আড়াই কোটি টাকার বেশি লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ্য থেকে জানানো হয়।