দক্ষিন এশিয়ার অর্ন্তভূক্ত অন্যতম একটি দেশ পাকিস্তান। বর্তমান সময়ে দেশটি অর্থনৈতিক ভাবে মারাত্মক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এবং বৈদেশিক ভাবে মোটা অঙ্কের অর্থের ঋন গ্রস্থ হয়ে পড়েছে দেশটি। তবে সম্প্রতি এই অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে পাকিস্তান। এতে বিদেশী নাগরিকরা পাচ্ছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নতুন নীতি ঘোষণা করেছেন। সরকারের মতে, ধনী বিদেশিরা চাইলে পাকিস্তানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে। তারা এদেশে বিভিন্ন প্রকল্পেও বিনিয়োগ করতে পারে। গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নতুন জাতীয় নিরাপত্তা নীতি ঘোষণা করেছেন। রবিবার সকালে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী টুইট করেছেন যে পাকিস্তান সরকার নতুন নীতি অনুসারে নতুন অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিবৃতি, স/ন্ত্রা/স/বা/দ এবং অর্থনীতি এবং তারা স্থায়ীভাবে দেশে থাকতে আগ্রহী কিনা তা সহ সমস্যাগ্রস্থ দেশে বিদেশী কোটিপতিরা কতটা বিনিয়োগ করবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, সরকার ধনী চীনা ও আফগান শেখদের কথা মাথায় রেখে নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেছে। তারা আরও বলেছে যে কানাডায় বসবাসকারী শিখরা সবসময় কর্তারপুর করিডোরের মতো ধর্মীয় স্থানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কিছু ধনী চীনা শিল্পপতিও পাকিস্তানে নতুন প্রকল্প নির্মাণে আগ্রহী। আর তালেবান-পরবর্তী সময়ে তুরস্ক, মালয়েশিয়া বা অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেওয়া ধনী আফগানদের বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী ফাওয়াদ বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশি শিল্পপতিরা রিয়েল এস্টেট শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে পাকিস্তান সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন ইমরান খান। তিনি দেশটির সাবেক ক্রিকেট খেলোওয়ার। তিনি তার ক্রিকেট খেলার ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। দেশ পরিচালনায় ও তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।