স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ সারেগামাপা খ্যাত শিল্পী নোবেলকে নিকট ডিভোর্স দেওয়ার জন্য একটি তালাকনামা পাঠিয়েছেন। নোবেলের স্ত্রী ঐ চিঠিটি গত ১১ সেপ্টেম্বর, নোবেলের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সালসাবিল মাহমুদ নিজেই দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নোবেল সাম্প্রতিক সময়ে ডিভোর্স দেওয়ার ঐ চিঠির বিষয়ে নিজেও জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুকে একটি পোস্টও করেছেন। কিন্তু তার দেওয়া সেই পোস্টের অন্ত’রালে একটা র’হস্যও ছিল। তিনি সেখানে লিখেছিলেন ‘ডিভোর্সড’। তারপর তিনি আরেকটি পোস্টে লিখেন যে, তিনি একজন ভালো মানসিকতার পাত্রী চান। পাত্রী চেয়ে এমন পোস্ট করার পরদিনই অর্থাৎ আজ নোবেল উল্টো তথ্য দিলেন। তিনি এবার বলেছেন যে এটি বিবাহবিচ্ছেদ নয় বরং পারিবারিকভাবে করা হচ্ছে মীমাংসা।
সোমবার সকালে নিজের ফে’সবুকে নোবেল লিখেছেন, ‘আমার এবং আমার স্ত্রীর মধ্যকার সকল বি’বা/দ পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে। বিগত কিছুদিনের কাদা ছো’/ড়াছু’ড়ির জন্য বিনীত ভাবে দু:খিত। বিয়ে একটা পবিত্র প্রথা, অনুগ্রহ করে বেফাঁ’স মন্তব্য করে এর পবিত্রতা নষ্ট করবেন না।’
সালসাবিলের পক্ষ থেকে ডিভোর্স চেয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ ছিল- নোবেলের মস্তিষ্ক বিকৃ’ত, স্বামী হিসেবে স্ত্রীর দুই বছরের খোরপোশ দেওয়ার অক্ষমতা, চরিত্রহীনতা ও নি’/র্যা’ত/নকারী, প্রচ’ণ্ড রকম মা’/রধ’/র করে ও নিষিদ্ধ দ্রব্য দ্রব্য গ্রহণ করে।
সালসাবিল মাহমুদ গনমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘গত মাসের ১১ তারিখে আমি ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি। তার চরিত্রসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া সে নিষিদ্ধ দ্রব্য খেয়ে আমাকে প্রচ’ণ্ডভাবে মা’/র’ধ’/র করে। গত বছর আমাকে মা’/র’ধ/র করায় আমি থা’/নায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। তার নি’/র্যা’ত’/নের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছিল, এ ছাড়া নিষিদ্ধ দ্রব্য থেকে তাকে কোনোভাবেই ফেরানো যাচ্ছিল না। বা’ধ্য হয়েই আমি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিই। যদিও সাধারণ ডায়েরির পর থেকেই আমরা আলাদা থাকছিলাম। আসলে তার ক্যারিয়ারের কথা ভেবে আমি মা’/ম’লা থেকে বিরত ছিলাম। এখনো আমি তেমন কিছুই করিনি, শুধু আমার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়েছি। আমি আর তার সঙ্গে থাকতে চাই না।
মইনুল হাসান নোবেল সারেগামাপাতে অংশ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিত’র্ক সৃষ্টি করে চলেছেন। নোবেল কোলকাতার জি বাংলার সারেগামাপাতে গানের প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়ার পর তার ভিন্ন ধা’রার গান নিয়ে আলোচনায় আসেন। এই রিয়েলিটি শো -এর মাধ্যমে, তিনি আলোচনায় আসার শুরু থেকেই দুই বাংলায় যেমন পছন্দের তালিকায় ছিলেন, তেমনই একটি অংশ বিভিন্ন সময়ে এর ‘আচরণ’ নিয়ে অস’ন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এই বিত’র্ক তিনি গুরুত্ব না দিয়ে ২০১৯ সালে সালসাবিল মাহমুদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও তারা তাদের বিয়ের বিষয়টি প্রায় ৭ মাস ধরে আ’ড়ালে রাখা হয়েছিল, কিন্তু সেটি আর পরে গো’পন রাখতে পারেননি এই দম্পতি। নোবেল এবং সালসাবিলের বিয়ের বিষয়টি ২০২০ সালের মে মাসের দিকে জানাজানি হয়।