উপস্থাপক রাফসান সাবাব নিজের ডিভোর্সের খবর জানানোর পর নানা সমালোচনার মুখে পড়েন সোশ্যালে। নানা চর্চা করে তাকে নিয়ে কটাক্ষ করতেও বাদ রাখছেন না নেটিজেনদের একাংশ। একই সঙ্গে গুঞ্জন উঠেছে―সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী জেফার রহমানের সঙ্গে প্রেম রয়েছে রাফসানের। এ কারণে ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন তিনি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাফসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ১৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে তিনি ডিভোর্স এবং তার স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন।
রাফসান বলেন, ডিভোর্সের স্ট্যাটাস দেওয়ার পর গত তিন দিন ধরে যত রকমের হয়রানি ও নেতিবাচক কথা শুনেছি, আমাকে সব রকমের এলিগেশন দেওয়া হয়েছে। তবুও চুপ করে থাকতে চাইলাম। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইনি। কারণ বিবাহবিচ্ছেদ উভয় ব্যক্তির জন্য একটি কঠিন বিষয় এবং এটি আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়।। আমি কোনোভাবেই চাইনি কাদা-ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে বা একে অন্যকে ব্লেম করার মাধ্যমে আমার এবং সাবেক স্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হোক, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এতো আলোচনা হোক।
মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আপনারা এলোমেলো মন্তব্যের ভিত্তিতে আমার বিবাহবিচ্ছেদের কারণ খুঁজছেন। আর এসব মন্তব্য পরে খবরে পরিণত হয় এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এশার পোস্ট নিয়ে রাফসান বলেন, এতে বেশ কিছু ভুল তথ্য ছিল বলেই আজ আমাকে কথা বলতে হচ্ছে। আর এই ভিডিওটিই আমার স্টেটমেন্ট। এশা বলেছেন আমাদের ডিভোর্সটি দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি। এটি সত্যি। তবে এই বিয়ে থেকে বের হওয়ার পেছনেও যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ৩ বছর আগে বিয়ে হলেও আমি দেড় বছর পর থেকেই ডিভোর্স চেয়েছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে সেটি হয়নি। তবে দেড় বছর আগেই আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, এ সম্পর্ক আমি চাই না। আসলে আমার বিয়েটি আইডিয়াল বিয়ে না। আমি সবার সামনে আইডিয়াল বিয়ে বলে অভিনয় করে যেতে পারব না। তাই এর মধ্য থেকে আমি বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিই।
সবাইকে অনুরোধ করে রাফসান বলেন, এই বিয়ে ভাঙার জন্য যদি কেউ দায়ী থাকে তবে আমি আর কেউ নয়। তাই আপনার কিছু বলার থাকলে আমাকে বলুন। এর জন্য অন্য কারো নাম নিয়ে আসার দরকার নেই।