Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার বিচ্ছেদের কারন জানালেন সেই শিক্ষিকার সাবেক স্বামী

এবার বিচ্ছেদের কারন জানালেন সেই শিক্ষিকার সাবেক স্বামী

সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বয়সের ছোট এক তরুণকে বিয়ে করেন ওই কলেজ শিক্ষিকা। অসম বয়সি ওই তুরুণকে বিয়ে করার বিষয়টি জানাজানি হওয়া ব্যাপক আলাড়নের সৃষ্টি হয়। তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এটির গ্রহনযোগ্য নেই যার কারনের ওই শিক্ষিকে অনেক হেনস্তা ও কুটুক্তির স্বীকার হতে হয়েছিল। তবে শিক্ষিকার বিয়ের বিষয়ে তার প্রথম স্বামী ভিন্ন কথা বললেন। যদিও তাদের পারিবারিক কলহের কারনে তাদের সংসার ভেঙ্গে যায় এবং বিচ্ছের ঘটনা ঘটেছিল।

সহপাঠীর সঙ্গে প্রথম বিয়ে হয় নাটোরের সেই কলেজশিক্ষক খায়রুন নাহারের। যদিও বন্ধুত্ব থেকে তাদের প্রেম হয়েছিল। চার বছর প্রেমের পর সংসার গড়েছিলেন তারা। নানা টানাপোড়েন আর মান-অভিমান থাকলেও একসঙ্গে কাটিয়েছেন প্রায় ২০ বছর। এর মধ্যেই ২০২০ সালে বিচ্ছেদ ঘটান এ দম্পতি। তাদের দুই ছেলেও রয়েছে।

বিচ্ছেদের দুই বছর পার হলেও খায়রুন নাহারের মৃ/ত্যু মেনে নিতে পারেননি প্রথম স্বামী জহুরুল ইসলাম বাবলু। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু ছেলেদের সঙ্গে তো ছিল। আমি যেন ওদের মায়ের অভাব পূরণ করতে পারি- এজন্য দোয়া করবেন।

জানা গেছে, মান-অভিমান ভেঙে গিয়েছিল তাদের সংসার। স্বামী জহুরুল ইসলামকে খায়রুনই তালাক দেন। জহুরুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের পান্নাপাড়া গ্রামে। বর্তমানে তিনি পান্নাপাড়া আব্দুর রহমান বিএম কলেজের প্রভাষক। প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর তিনি আর বিয়ে করেননি।

স্থানীয়রা জানায়, জহুরুল ইসলাম শিক্ষাজীবন শেষ করে কলেজে শিক্ষকতা শুরু করলেও দীর্ঘদিন ধরে বেতন হয়নি তার। সম্প্রতি ঘোষিত এমপিও তালিকায় তার বেতন চালু হয়েছে। এর আগে তাকে আর্থিক চরম অনটন পার করতে হয়েছে। এ সময় তিনি একটি অটোরিকশাও চালিয়েছেন। এরই মধ্যে পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ও খারাপ না ভালো- এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। সে আমাকে তালাক দিয়েছে চলে গেছে। আমাদের সংসারে দুই ছেলে আছে। বড় ছেলে বৃন্ত রাজশাহীর একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট ছেলে অর্ক বাঘার একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

তাদের বিচ্ছেদের পর বৃন্ত কখনো দাদার বাড়ি আবার কখনো নানার বাড়িতে থাকেন। আর অর্ক তার বাবার কাছে দাদার বাড়িতেই থাকেন।

পরিচয়, প্রেম ও বিয়ে নিয়ে জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা দুজনে রাজশাহী কলেজে দর্শন বিভাগে পড়তাম। ১৯৯৫-৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। সেখানেই পরিচয়, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা। আমরা ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে অনার্স পরীক্ষা দিয়েই বিয়ে করি। পরে দুজনেই মাস্টার্স করেন। আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

পারিবারিক মান-অভিমান থেকে ও-ই তালাক দিয়ে চলে গেছে। এরপর আর আমার সাথে যোগাযোগ হতো না। ছেলেদের সাথে কথা হয়েছে। অনেক সময় আমার মোবাইল থেকে ছেলেরা ফোন করত।

কলেজছাত্রকে সাবেক স্ত্রীর বিয়ের বিষয়ে জহুরুল ইসলাম বললেন, ‘ওর ভালো লেগেছিল করেছে। ভালো থাকার আশা নিয়েই তো করেছিল।’

প্রসঙ্গত, যদিও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ছিল কিন্তু এ নিয়ে শিক্ষিকার প্রথম স্বামীর অভিযোগ নেই। তার বক্তব্য হচ্ছে ওই শিক্ষিকা তো তার সন্তানের মা তাদের অনেক কষ্ট হবে।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *