বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিতর্ক। সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে তাকে আবারও আবেদন করতে হবে। বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, নতুন করে আবেদন চাওয়া অমানবিক। ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়েছে সরকার। সরকার তাকে নির্বাহী আদেশে বিদেশে পাঠাতে পারে।
এই বিতর্কের মধ্যেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব/রাবর পাঠানো চিঠির শেষ অংশে বলা হয়, ‘বেগম জিয়ার জীবন বাঁচাতে এবং তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ চিকিৎসা গ্রহণ করা অপরিহার্য। এমতাবস্থায় তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং সকল শর্ত শিথিল করে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এ আবেদন করেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে। সরকার নতুন করে আবেদনের কথা বলে সময় নষ্ট করে খালেদা জিয়াকে মৃ/ত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে আদালতের নির্দেশের প্রয়োজন নেই। নির্বাহী আদেশে সরকার তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে। নির্বাহী আদেশেই তাকে বিদেশে পাঠাতে পারে।