Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার বিএনপি নিয়ে ভিন্ন এক বার্তা দিলেন সিইসি

এবার বিএনপি নিয়ে ভিন্ন এক বার্তা দিলেন সিইসি

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এমন আলোচনায় করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে বিরোধী দল বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবে বলে জানিয়েছে। তাদের দাবি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। নির্বাচন সংলাপে বিএনপি না আসলেও তাদের জন্য অপেক্ষা করা হবে জানিয়ে (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল যা জানালেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপি যদি সময়মতো সংলাপে না আসে তাহলে আমরা শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য অপেক্ষা করব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলাপের চতুর্থ দিনে রোববার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই সংলাপ চলবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কমিশনের সংলাপে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরবে বলে আশা করছি। তবে সময়মতো বিএনপি সংলাপে না এলে আমরা শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য অপেক্ষা করব।

ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা বলেন, কোন দল নির্বাচনে না আসলে বসে থাকা যাবে না, ভোটারদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

এরপর বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। বিকাল ৩টায় বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। তবে বিএনপি আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা সংলাপে অংশ নেবে না।

সংলাপের সময়সূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে এবং পরে বিএনএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি।

চারটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতিদিন এই সংলাপ হচ্ছে। প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের (আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি) জন্য দুই ঘণ্টা এবং বাকি দলগুলোর জন্য এক ঘণ্টা বরাদ্দ রয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ রয়েছে।

এদিকে গত তিন দিনে সংলাপে আমন্ত্রিত ১২টি দলের মধ্যে বিএনপির দুই শরিক বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি সংলাপে অংশ নেয়নি। আর বিএনপিও আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা অংশ নেবে না।

তবে শুধু এবারই নয়, বর্তমান ইসির আমন্ত্রণে এর আগেও ইসিতে যায়নি বিএনপি। এমনকি এই কমিশন গঠনের আগে রাষ্ট্রপতির সংলাপেও বিএনপি অংশ নেয়নি।

গত জুনে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে। কিন্তু এতে অংশ নেয়নি ১১টি রাজনৈতিক দল।

দলগুলো হলো বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। . .

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সম্পাদক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশন। এসব সংলাপে প্রাপ্ত পরামর্শ পর্যালোচনা করে আগামী নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তারা।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতামত জানছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের করার পরিকল্পনা করা হবে বলে জানা যায়।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *