বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাদের কীভাবে নির্বাচনে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা ভালো। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
তিনি সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ইসির চেয়ে সরকারের ভূমিকাই বেশি। আমি বলছি না যে বিএনপির সব দাবি মেনে নিতে হবে, তবে সরকার অনেক ছাড় দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ইঙ্গিত দিতে পারে।
ড. শাহদীন মালিক আরো বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকার তার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করতে পারে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নির্বাচনের জন্য ৩ মাস সময় রয়েছে। সে সময় সংলাপের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে পারে। বিএনপির মতো বড় দল নির্বাচনে না এলে তা অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হবে না।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ তৈরি করা হবে। এছাড়াও, ভোটের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে কমিশন বিবেচনা করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলসহ ১০টি দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবিতে তারা আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বেশ কয়েকটি দল তাদের প্রার্থী বাছাই করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।