ওবায়দুল কাদের হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন বাংলাদেশ থেকে পালানোর ইতিহাস বিএনপির।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বিএনপির পালানোর ইতিহাস রয়েছে। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদের মহাসড়ক দখলের হুমকির প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্পত্তি নয়।
মহাসড়ক জনসাধারণের সম্পত্তি। তাই জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের।
ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের জঙ্গি নেতাকর্মীদের রাস্তা দখলের হুমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই। রাজপথে ত্যাগ স্বীকারের অভিজ্ঞতা আমাদের (আওয়ামী লীগ) আছে। বিএনপির হুমকি বাস্তবে যতটা উচ্চস্বরে তা নয়। ‘
আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশ থেকে বিএনপির পালানোর ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া একজন দণ্ডিত পলাতক। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই।
ওবায়দুল কাদের দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটি ও মানুষের গভীরে। সেটা হবে দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাজপথ দখলের নামে আবারও অগ্নিসংযোগের পথ বেছে নিলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
এর আগে সেতু ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় পিরোজপুর জেলার কচা নদীর উপর নবনির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর (বেকুটিয়া) হস্তান্তর ও উদ্বোধন এবং চলতি বছরের শেষের দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া চীনের সহায়তায় অন্যান্য প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের তার সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব নেবার পরে সেতু ও সড়ক পদে ব্যাপক লক্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আরো উন্নয়ন হবে বলে দেশের মানুষ প্রত্যাশা করছেন।