নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মেজাজ ধরে রাখতে পারছেন না। সেই সঙ্গে সমালোচনাও পিছু ছাড়ছে না সাবেক এই এমপির। যদিও তিনি একজন শান্ত ও ঠাণ্ডা মেজাজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত, তবে গত কয়েক মাসে জেলা ও কেন্দ্রে ঘোষিত বিভিন্ন সমাবেশে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এবার সেলফি তোলায় মিছিলে এক কর্মীকে চড় মা/রলেন তিনি। এ নিয়ে জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সিনিয়র নেতারা বলছেন, গিয়াস উদ্দিনের মতো একজন পেশাদার ও অভিজ্ঞ রাজনীতিকের কাছ থেকে এমন আচরণ কখনোই প্রত্যাশিত নয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানান, গত ১৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত জনসভাকে ঘিরে ঢাকার মতিঝিলের নটরডেম কলেজের সামনে জড়ো হতে থাকে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। নির্ধারিত সময়ে মিছিল শুরু হয়ে গণসমাবেশের দিকে এগোলে কয়েকজন নেতাকর্মী এগিয়ে আসেন এবং কেউ কেউ ব্যানারের সামনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিছিল থেকে বের হয়ে নেতাকর্মীদের ব্যানারের পেছনে আসতে বারবার বলার পরও কথা না মানায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক সময় মেজাজ হারিয়ে তিনি এগিয়ে গিয়ে এক কর্মীকে চড় মারেন। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে শুরু হয় সমালোচনা। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরাও মুখ খুলতে শুরু করেন। এদিকে, দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানান, গত ২ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে কৃষক দলের সমাবেশে গিয়াস উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। তার দুই পাশে দেখা যায় ডেমরা এলাকার দুই শীর্ষ স/ন্ত্রাসী জামান ও সেলিম নামে কয়েক ডজন মামলার আসামি।এতে নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, বিএনপির আন্দোলন ঘিরে পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় তিনি তার পুরনো সব মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন।