ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ দাবি করেছেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা অগ্নিসংযোগের দা/য় স্বীকার করেছেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডিবি প্রধান আরও বলেন, ২৮ তারিখের সমাবেশে না/শকতার ঘটনায় তারা ডিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের সঙ্গে রিমান্ডে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, না/শকতা আমাদের দলের লোকজন করেনি, অন্য কেউ করেছে বলে মনে হয়। তারা এটা নিয়ে সন্দিহান ছিল। এরপর তাদের (বিএনপি কর্মীদের) আমাদের কাছে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ, স্মার্ট টিমের তৈরি ভিডিও দেখানো হয়।
ডিবি হারুন আরও বলেন, আমরা বলেছি, আপনারা মঞ্চে ছিলেন, সমাবেশে নেতৃত্ব ছিলেন। এছাড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সমাবেশের দিন মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকায় কারা। কোথায় সুলতান সালাহউদ্দিন লাঠি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন, কোথায় রবিউল ইসলাম নয়ন আ/গুন দিচ্ছেন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ মিন্টুর বাড়ি থেকে আমরা গানপাউডার পেয়েছি তা মিন্টুর স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সবকিছু দেখার পর তারা (কেন্দ্রীয় নেতা) দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, এটা ঠিক নয়।
মূল পরিকল্পনাকারী কারা জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, তারা ভাবতে পারে বাংলাদেশের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন জায়গায় আ/গুন লাগলে তারা ভয় পাবে, বা পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়বে, এটা ঠিক নয়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়াই পুলিশ বাহিনীর কাজ। সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, আমাদের পুলিশ, ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায়। পুলিশ বাসে যাত্রীদের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ধরনের কাজ করতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কৃত করা হবে, যা কিছুদিন আগে আমাদের ডিএমপি কমিশনার ঘোষণা করেছিলেন। না/শকতাকারী ধরা পড়লে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখবেন, একজন মানুষের একটি বাস আছে। তাতেই চলে তার সংসার। বাসে আ/গুন দিলে তার জীবন শেষ হয়ে যায়। পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই। তাই আমি মনে করি, সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। কেউ কোনোভাবেই আক্রমণ করতে পারবে না। আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। যারা এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের নাম আমরা পেয়েছি। আমরা শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করতে পারব।