বিএনপি তাদের নিজেদের জোটের ভেতর থেকে কিছু কিছু দলের সাথে মাঝে মাঝেই সংলাপ করছে। এবং সেই সাথে কিছু গজিয়ে ওঠা গায়েবেনা দলের সাথে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, মূলত বিএনপি নিজেদের শরিক দলগুলোর সাথে কথা বলে জনগণকে দেখাচ্ছে যে তাদের জোটের বাইরের দল অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এবং সংলাপে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বিএনপি তাদের জোটের দলগুলোর সঙ্গে অর্থাৎ নিজেরা নিজেদের সঙ্গে এবং কিছু গায়েবানা দলের সঙ্গে সংলাপ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখেছি বিএনপি যেসব দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে তারা বিএনপির তথাকথিত ২২ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত, যদিও ২২ দল থেকে কিছু পালিয়ে গেছে। অর্থাৎ তারা নিজেদের মধ্যে সংলাপ করছে। আর অন্য কিছু দলের সঙ্গে তারা বৈঠক করার পরই কেবল আমরা জানতে পারছি যে, বাংলাদেশে এরকম গ্রুপ আছে, যাদের অনেকের কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। সাংবাদিকরা যেমন অনিবন্ধিত সংবাদপত্রকে গায়েবানা বলে, এ দলগুলোও তেমনি গায়েবানা দল। এদের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শুধু হাস্যকর নয়, এতে বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যই প্রকাশ পাচ্ছে।’
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড কনটেইনার ডিপোতে ভ’/য়াব’হ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন এবং সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের নেতাদের যেখানে প্রয়োজন সেখানে র”ক্ত দিতে এবং সার্বিক সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
‘বিষয়টি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তাও খতিয়ে দেখা হবে। কারণ এত বড় ঘটনা সত্যিকার অর্থে দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার,” বলেন মন্ত্রী।
কনটেইনার মালিক রাসায়নিক রাখার শর্ত পূরণ করেছেন কিনা তা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রী ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অপ’রাধ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে প্রায়ই বড় ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। একই সময়ে, রিপোর্ট করার সময় কারও ব্যক্তিগত সীমানা যাতে লঙ্ঘন না হয় এবং আইন দ্বারা সুরক্ষিত অধিকারগুলি যাতে খর্ব না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য যত্ন নেওয়া আবশ্যক৷
সাংবাদিকদের ঝুঁকি ভাতা আইনে বিচার না করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল করা এবং তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে মন্ত্রী ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছেন CRAB নেতারা। তারা প্রস্তাবিত গণমাধ্যম কর্মী আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সরিয়ে আরো সাংবাদিক বান্ধব করার দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ-সভাপতি মুহ. জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, যুগ্ম-সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমন, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ইমু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রুদ্র রাসেল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম মিন্টু হোসেন, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মো. প্রযুক্তি সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, কল্যাণ সম্পাদক নাহিদ তন্ময়, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন আলম, নির্বাহী সদস্য মো. আমানুর রহমান রনি, সিরাজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে সরকার হটানোর আন্দোলনে নেমেছে। কিন্তু সেইসাথে বিভিন্ন দলের সাথে সংলাপে বসছে বিএনপি নেতারা এবং দাবি করছেন, একের পর এক বিভিন্ন দল তাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে। শীঘ্রই একটি শক্তিশালী জোট গঠনের মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে।