ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, গত ২৮টি বিএনপির সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিএনপি কর্মীরা তাণ্ডব চালায়। রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশে হামলা-ভাং/চুর ও মা/রধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে এবং গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদল নেতা-কর্মীগ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিএনপি কর্মী ইসমাইল পাটোয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাইদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু ও যুবদলের নেতাকর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। বাসে আ/গুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিন (২৯)।
ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধ চলাকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নেতাকর্মীরা রাজধানী বিভিন্ন স্থানে পুলিশের দাপ্তরিক কাজে অ/গ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও বাধা দেয়।এমনকি বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাস পোড়ানোর ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন জানান, শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপি কর্মীরা গাড়িতে আ/গুন দেয় ও পুলিশকে মারধর করে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইসমাইল পাটোয়ারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে সবুজ রঙের দুটি প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছেন। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাং/চুর, পুলিশের ওপর হা/মলা ও পুলিশ বক্সে অ/গ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে দেয়। এমনকি তিনি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছি’। এছাড়া নিহত পুলিশ সদস্যের শিশু কন্যা ‘বাবা, বাবা বলে কাঁদছেন’ একটি ফেসবুক পোস্টে গিয়ে ‘আমরা অসুখী নই’ মন্তব্য করেন। গ্রেফতারের পর সে সবকিছু স্বীকার করেছে। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারাও তাদের পরিচয় স্বীকার করেছেন।
পৃথক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় বিমান পরিবহনে এক যাত্রীতে আ/গুন দেওয়ার অভিযোগে আল-আমিন নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচলকারী একটি বিমান পরিবহনের গাড়ি বাঁশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের ট্রাফিক সিগন্যালে থামলে কয়েকজন যাত্রী উঠে বি/স্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় জড়িত আল-আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকাটিয়া এলাকায় আটক করা হয়েছে।