বিনা ভোটে সরকার অবৈধ্য ভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে আর এই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে হটানো হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বং/স করে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরন করেছে এই সরকার। দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোল সংগ্রাম করছে। সরকার আবারও বিনা ভোটে ক্ষমতায় যাওয়া জন্য বিএনপির আন্দোলনকে প্রতিহত করতে ভিন্ন পথ বেঁছে নিচ্ছে। তবে সংসদে থেকে বিএনপি সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করার বিষয় নিয়ে যা বললেন বিএনপি দলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদ।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিতে সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কথা ভাবছে বিএনপি। ঢাকায় আগামী (১০ ডিসেম্বর) ম/হাসমাবেশের আগে তাদের প/দত্যাগ করতে চায় দলটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের স্বার্থে পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংসদ সদস্যরাও দলের বার্তা মেনে নিতে প্রস্তুত।
রাজপথে সরকারকে অবৈধ দাবি করলেও বিএনপির ৭ এমপি সংসদে রয়েছেন। দ্বিমুখী অবস্থানের কারণে দলের ভেতরে-বাইরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সরকারবিরোধী এক দফায় আন্দোলন শুরুর আগে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চায় দলটি। এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে।
নয়টি সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ম/হাসমাবেশ করবে দলটি। এই সমাবেশ থেকে ঢাকা ঘোষণা আসবে। এর আগে দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পাশাপাশি আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চায় দলটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আন্দোলনের স্বার্থে ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত পেলে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত এমপিরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আসলে সবাই একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে, ডানে-বামে, আগে-পরে, সবাই একসঙ্গে এগোচ্ছে। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার সেটাই নেওয়া হবে।
বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দল কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা অবশ্যই সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব। আর জনগণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা ও পদত্যাগে দ্বিধা করার কোনো অবকাশ নেই।
১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে, দলের এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেছেন; সময় বা দিনক্ষণ দিয়ে আ/ন্দোলন করা যায় না । জনরোষ এড়াতে এর আগেই দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
খসরু আরও বলেন, বলে কয়ে আ/ন্দোলন হয় না, আন্দোলনের একটি গ/তিপ্রকৃতি আছে, ১০ ডিসেম্বরের আ/গে কি হবে সেটা, এখন বলার সুযোগ নেই। তবে যতদিন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হবে ততদিন এই আন্দোলন চলবে।
এমিপি হারুন বলেন, সরকার যদি সংবিধানের দোহাই দিয়ে আজ একতরফাভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চায়, তাহলে সংকট আরও গুরুতর হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রামে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগীয় সমাবেশ।
প্রসঙ্গত, বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের জনগণের ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। অবৈধ্য আর কাউকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতারা।