ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন প্রবীন রাজনীতিবীদ। তিনি বিএনপিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লার-২ আসন থেকে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বিএনপির মধ্যকার অন্তর্কোন্দলের কারণ প্রকাশ করলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “সরকার আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করবে। বাংলাদেশ যেমন বীরের দেশ, তেমনি মীরজাফরও বাংলাদেশ। তাই আজকের প্রয়োজন বীরদের সামনে থাকা, মীরজাফররা যাতে সামনে আসতে না পারে।
বুধবার (৬ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুকের ওপর ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল হামলা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির অন্তঃকোন্দল নিয়ে আবারও সরাসরি মুখ খুললেন বিএনপির সিনিয়র এক নেতা।
দেশের বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, কয়েকদিন আগেও এই সরকার জানত না যে এ দেশে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে। তিনি জানলে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন। হঠাৎ লোডশেডিং কেন? কারণ গ্যাস থেকে বিদ্যুতের গ্যাস উত্তোলন ও বিতরণের বিষয়ে সরকার ১৪ বছর ধরে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটকে খুশি করতেই তারা রেন্টাল পাওয়ার আনছে। ‘
দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হিসেবে কুইক রেন্টালের দুর্বলতা তুলে ধরে ড. মোশাররফ বলেন, তাদের স্বল্প মেয়াদের জন্য আনা হলেও সরকার তাদের দীর্ঘ মেয়াদে নিয়ে এসেছে। যার জন্য আমাদের (বিএনপি) সময়ে বিদ্যুতের দাম ছিল ২ টাকার নিচে, এখন ১০ টাকার ওপরে। কেন? সেই সিন্ডিকেটকে সুবিধা দিতে। সে সময় গ্যাস উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। বিদেশ থেকে আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। এ অবস্থার কারণে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে।
ইভিএম প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে কারচুপির পরিকল্পনা করছে তারা। সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিজেদের দলের মধ্যে ক্রন্দল ক্ষতি ছাড়া কখনই দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারেনা। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে সমস্যার সৃষ্টি হতেই পারে কিন্তু সেই সমস্যা নিজেদের মধ্যে সমাধান করাটাই দলের জন্য শ্রেয় বলে মনে করেন অনেকে।