সব আলোচনা-সমালোচনাকে পিছনে ফেলে অবশেষে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হল। প্রধানমন্ত্রীর সাহসি সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সেতু উদ্বোধন পর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেতুতে উঠে রেলিংয়ের নাট খোলা সেই বায়েজিদের পুলিশের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে টিকটক ভিডিও করে আলোচনায় আসা যুবক বায়েজিদ তালহার গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাতারি প্রবাসী তালহারের বন্ধু কায়সারকেও খুঁজছে পুলিশ। তিনি (কায়সার) যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, এ জন্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় স্বপ্নের সেতু।
এরপর কাইসার ৭১ (Kaisar 71) নামে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে বায়েজিদের পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার ভিডিওটি আপলোড করা হয়। আপলোড করার 36 সেকেন্ডের মধ্যে, ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর কংক্রিটের রেলিংয়ের ওপর থাকা লোহার রেলিংয়ের দুটি নাট খুলছেন বায়েজিদ। মূলত নাট দুটি দিয়ে কংক্রিটের রেলিং ও লোহার রেলিংয়ের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নাট খুলে হাতে নিয়ে বায়েজিদকে বলতে শোনা যায়, ‘এই হলো আমাদের পদ্মা সেতু। আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু।’ এ সময় ক্যামেরার পেছন থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘নাট খুলে ভাইরাল করে দিয়েন না।’ এরপর সারাদেশে শুরু হয় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
গত ২৬ জুন বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে।
তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় বায়েজিদকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের ছেলে বায়েজিদ ঢাকা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার এক ভাই রাজস্ব কর্মকর্তা এবং অন্যজন ফায়ার সার্ভিসে কাজ করেন।
প্রসঙ্গত, নাট বল্টু খোলা বায়েজিদের গাড়ি পুলিশের হেফাজতে নিয়া হয়েছে বলে পুরিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তার বন্ধুকে সন্ধান করছে পুলিশ।