গত বছর ছয়েক আগেই ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার পরই /হ/ত্যা//র শিকার হন মাহমুদা খানম। এরপরই তার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। প্রথমত এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বাবুল আক্তার নিজেই। তবে পরবর্তীতে শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় ফেঁসে যেতে হয় তাকে। আর এরই জের ধরে এবার দাদার উপস্থিতিতেই বাবুল আক্তারের সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের সন্তানদের পিবিআই কার্যালয়ে নয়, অভিভাবক দাদা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ জুন) শিশু আইন মেনে সমাজসেবা কর্মকর্তার সামনে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আবেদনকারী উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। পরে আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
এদিন আদালতে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এদিকে বর্তমানে দাদা ও বাবুলের বর্তমান স্ত্রীর কাছে রয়েছে বাবুলের দুই সন্তান। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে বাবুলের দুই সন্তানদের ওপর যেন কোনো মানসিক চাপে না পড়ে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।