প্রেমের জেরে ঘর ছেড়েছেন এমন সংখ্যালঘুর সংখ্যা কম নয়। কারণ বর্তমান সময়ে এক যুবক যুবতী প্রেমের টানে এক দেশ ছেড়ে অন্যদেশও পাড়ি জমায় এমন ঘটনা সবার কাছে দৃষ্টান্ত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসকল প্রেম মেনে নিতে পারে না স্বজনরা তাই আবেগের বশবর্তি হয়ে নিয়ে ফেলে ভুল কিছু সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছেফরিদপুরের বোয়ালমারীতে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় বাবার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১৮ বছরের মেয়ে ফারিয়া ইসলাম জেরিন। সোমবার বিকেলে বোয়ালমারীতে স্থানীয় একটি পত্রিকার কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ফারিয়া গোপালগঞ্জের বোলতৈল গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে ফারিয়া বলেন, আমি এবং ২২ বছর বয়সী মেহেদী হাসান ফাহিম দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। আমরা পরিবার পরিজন ছাড়া একে অপরের প্রেমে পড়ে কাজী অফিসে গিয়ে স্বেচ্ছায় গোপনে বিয়ে করি ২রা জুলাই। গত ৬ জুলাই বিষয়টি জানাজানি হলে আমার স্বজনরা আমাকে হুমকি দেয় এবং ফাহিমকে তালাক দিতে বলে।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামে স্বামীর বাড়িতে চলে আসি। এরপর গত ৭ জুলাই আমার বাবা গোপালগঞ্জ আদালতে আমার স্বামী, তার পরিবার ও স্বজনদের নামে অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে অহেতুক হয়রানি করছেন।
এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ফারিয়া বলেন, আমি আমার দাম্পত্য জীবনে সুখী। এ সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাবাকে দুজনকে মেনে নিতে অনুরোধ করেন।
স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় বাবার বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেকেই তা ঠেলে ফেলে দিতে পারছেনা। প্রথম পর্যায়ে ওই মেয়েকে অনেকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও কোনো বুঝো না শুনে মানববন্ধন শুরু করে। একে একে তার সাথে সঙ্গদেয় অনেকেই। কারণ তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারেন। যেহেতু মেয়ের বাবা ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে তাই আদালতের কাছে নিজের স্বামীকে রক্ষা করতে পারবে বলে সান্তনাও দিয়েছেন অনেকেই।