মানুষ অনেকেই দেখা যায় বিলাসবহুল গাড়ি কিনে তাতে করে বিলাসিতা করে আবার অনেকে দেখা যায় নিজেদের প্রয়োজনে দামি গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু যাদের এরকম দামি গাড়ি কেনার সামর্থ্য নেই তারা সবসময় চেষ্টা করেন সাধ্যের মধ্যে যদি এমন কোন গাড়ি পাওয়া যায় তবে সেটা মন্দ নয় বাজারে এখন এমন সাধ্যের মধ্যে অনেক গাড়ি চলে এসেছে যেগুলো মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে
গাড়ির প্রতি দুর্বলতা নেই এমন মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। একটা সুন্দর গাড়ি দেখলে আমরা তার দিকে তাকিয়ে থাকি। অনেকেই চান তার সাধ্যের মধ্যে গাড়িটি যেন সবচেয় সুন্দর হয়।
ভারতে পাঁচ লাখ টাকার নীচে গাড়িগুলোর মধ্যে যে গাড়িগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় সেগুলি হলো- রেনল্ট কিুউইড (দাম ৩.০২ লাখ টাকা), মারুতি অল্টো (২.৯৯ লাখ টাকা) এবং মারুতি এস-প্রেসো (৩.৬৯ লাখ টাকা)। এছাড়াও অন্য যে গাড়িগুলির দাম ৫ লাখ টাকার মধ্যে এবং ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে যে গাড়িগুলোর জনপ্রিয়তা চিরকালীন তাদের দাম ও বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচিত হলো।
রেনল্ট কিুউইড- আনুষ্ঠানিকভাবে রেনল্ট লঞ্চ করেছে বিএস নিয়মসিদ্ধ কিউইড যার দাম ২.৯২ লাখ টাকা থেকে ৫.০১ লাখ টাকার মধ্যে। এই গাড়িতে ৫ স্পিড গিয়ার বক্স আছে। ফুয়েল ধারণের ক্ষমতা ২৮ লিটার। এই গাড়ির মাইলেজ ২৩ -২৫ কেএমপিএল।
রেনল্ট ট্রাইবার- রেনল্ট ট্রাইবার এখন বিএস ৬ নিয়মসিদ্ধ ইঞ্জিন নিয়ে সমৃদ্ধ। এই গাড়ির ৬.৭৮ লাখ -৪.৯৯ লাখ টাকার মধ্যে দাম। রেনল্টের ফুয়েল এফিসিয়েন্সি এখন ১৯কেএমপিএল। ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৪০ লিটার। মাইলেজ- ২০ কেএমপিএল। এই গাড়িতে রয়েছে ৫ স্পিডের গিয়ার বক্স।
মারুতি অল্টো- মারুতি অল্টো এখন বিএস৬ সিএনজি বিকল্পে ভারতীয় বাজারে বিরাজমান। নতুন এলএক্সআই এবং এলএক্সআই (ও) এস -সিওএনজি বিকল্পদুটির দাম যথাক্রমে- ৪.৩৩ লাখ টাকা ও ৪.৪৬ লাখ টাকা। এই গাড়ির ৭৯৬ সিসি ৩ সিলিন্ডার ইঞ্জিন থেকে উৎপন্ন করবে ৪৭ পিওএস/৬৯ এনএম টর্ক। ২২-৩১ কেএমপিএল মাইলেজ উৎপন্ন করবে। ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৬০ লিটার। ৫ স্পিড গিয়ার বক্স।
মারুতি এস-প্রেসো- মারুতি সুজুকি দাম বাড়িয়েছে প্রায় ৪.৭ শতাংশ এস-প্রেসো গাড়ির সব ধরণের বিকল্পের। এই গাড়ির মাইলেজ ২১ কেএমপিএল। ম্যানুয়াল ও আটোমেটিক দুই ধরণের ট্রান্সমিশন আছে। ফুয়েল ধারণ জরে ২৭ লিটার। এজিএস গিয়ার বক্স রয়েছে।
মারুতি ইগনিস- মারুতি ইগনিস গাড়ির আবরণ উন্মোচন হলো অটো এক্সপো ২০২০-তে। নতুন গাড়ির ডিজাইনে পরিবর্তন এসেছে। এটি ৮৩ পিএস পাওয়ার আর ১১৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। ৪.৭৪ লাখ টাকা থেকে দাম শুরু। ২০ এমপিএল মাইলেজ দেয়। ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৩২ লিটার।
মারুতি সেলেরিও- মারুতি সুজুকির দাম ৪.৪১ লাখ টাকা। এই গাড়িতে আছে ১.০ লিটার তিনিটি সিলিন্ডারারের পেট্রল ইঞ্জিন যা ৬৮ পিএস ও ৯০ এনএম উৎপন্ন করে। ফুয়েল ক্যাপাসিটি রয়েছে ৩৫ লিটার।
টাটা টিয়াগো- টাটা টিয়াগো গাড়িকে সবথেকে নিরাপদ গাড়ির তকমা দেওয়াই যায়। এই গাড়িতে দুটি এয়ারব্যাগ, ইবিডি, সিল্টবেল্ট সবরকম সুরক্ষা পদ্ধতি দ্বারা সুরক্ষিত। এই গাড়ির দাম শুরু হচ্ছে ৪.৬০ লাখ টাকা থেকে। ১.২ লিটারের পেট্রল ইঞ্জিন ও ১.০৫ লিটারের ডিজেল ইঞ্জিন এই দুই ধরণের বিকল্পে পাওয়া যায়।
ডাটসান গো প্লাস- ডাটসান গো প্লাসের দাম শুরু হচ্ছে ৪.১৫ লাখ টাকা থেকে। এই গাড়িতে আছে ১.২ লিটার তিনটি সিলিন্ডারের ইঞ্জিন যা থেকে ৬৮ পিএস পাওয়ার আর ১০৪এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। মাইলেজ ১৯ কেওএমপিএল। ফুয়েল ধারণ ক্ষমতা- ৩৫ লিটারস।
অল্প দামে নিজের সাধ্যের মধ্যে গাড়ি কিনতে চান অনেকেই তবে প্রত্যাভিজ্ঞা মূল্য হওয়ার কারণে পছন্দের গাড়িটি মানুষ অনেক সময় কিনতে পারেননি তবে এবার দেখা যাচ্ছে বাজারে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে কিছু গাড়ি এসেছে যেগুলো সুন্দর ডিজাইন এবং মাইলেজ বেশ ভালই রয়েছে। এমন কয়েকটি গাড়ি বাজারে এখন বেশ চলছে