অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। তিনি ঢাকা-২ আসন থেকে মাননীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। খাড্যমন্ত্রী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি থেকে বিদায় করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলো ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তাদের সরাতে হবে। এ জন্য স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলা করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটকে তিনি দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করছেন। এতে স্বাধীনতাবিরোধীদের মন খারাপ হয়। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রোববার (৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি আগস্ট মাসে কলঙ্কজনক প্রাণনাশকাণ্ড ঘটায়। বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি নামক দলের জন্ম দেন। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দেন। কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধ শেষ করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতি হিসেবে আমাদের মুক্তির কাজ করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে সামনের পথে অনুপ্রাণিত না করলে তিনি সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারতেন না। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব তাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছেন।
পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা বিরোধীরা হলো দেশ ও জাতির শত্রু। তারা কখনই দেশের মঙ্গল কামনা করতে পারে না। তাদের দ্বারা দেশের ক্ষতি করা ছাড়া ভালো কিছু কখনই আশা করা যায় না।