দুদকের অন্যতম একজন কর্মকর্তা হয়েও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গত বছর তিনেক আগে দুদকের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ। আর এ মামলায় গতকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) আদালতে জামিনও পেয়েছিলেন বাছির। কিন্তু জামিনের একদিন না যেতেই ঘটলো অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
জানা গেল, বাছিরকে জামিন দেওয়ার একদিন পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাই কোর্ট।
মূল আপিল আবেদনের সাথে জামিন আবেদন না থাকায় বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ আগের দিনের জামিন প্রত্যাহার করে নতুন এই আদেশ দিয়েছে।
আদালতে এনামুল বাছিরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে মঙ্গলবার সাজার বিরুদ্ধে এনামুল বাছিরের আপিলের আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেন।
তবে বশিরের জামিনের আবেদন সেই মূল আপিল থেকে আলাদা ছিল না, যা মঙ্গলবার জামিন আদেশ হওয়ার পর বিচারকের নজরে আসে।
এনামুল বশীরের আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরীকে বিচারক বলেন, আমরা আইনজীবীদের বিশ্বাস করি। এই কারণে, আমি আপনার কথা বিশ্বাস করি এবং অনেক আদেশ প্রদান করি। তবে আপনি এনামুল বাছিরের আপিলের নথিতে জামিনের দরখাস্ত সংযুক্ত না করেই জামিন শুনানি করেছেন, এটা একটা অপরাধ।
“দ্বিতীয়ত, আপনি আদালতকে না জানিয়ে বেঞ্চ অফিসারের কাছে জামিনের দরখাস্ত জমা দিয়েছিলেন। এটা আরেকটা অপরাধ। এই পেশাগত অসদাচরণের জন্য আমরা আপনাকে বার কাউন্সিলের কাছে পাঠাতে পারি। কিন্তু আমি তা করছি না। তবে খন্দকার এনামুল বশীরের জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিচ্ছি।”
সাধারণ মানুষ এমন অপরাধ করলে, সেটা হয়তো কোনো ভাবে মেনে নেয়া যেত। কিন্তু একজন আইনের লোক হয়ে বাছির যে অপরাধ করেছে, তা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না বলে মনে করছেন অনেকেই।