বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ঢাকায় ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বহু বছরের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। বেলজিয়ামের সঙ্গে তার জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, তিনি সেখানেই পড়াশোনা করেছেন। আর বেলজিয়াম হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর। বৈঠকে আমরা ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন, আমাদের অনেকগুলো এজেন্ডা রয়েছে। শিগগির নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছি আমরা।
এটি একটি অত্যন্ত ব্যাপক এবং নতুন প্রজন্মের চুক্তি।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমি মনে করি, নতুন অংশীদারত্ব সহযোগিতা চুক্তির (পিসিএ) ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি রয়েছে, সেটির চেয়ে এটির (পিসিএ) ধরন অনেকটা রাজনৈতিক। কারণ, আগের চুক্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগিতার। যা এখনো বর্তমান আছে।
দ্বাদশ জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সব প্রধান রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি বলে তার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইটলি বলেন, এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছি। আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। কিভাবে আমরা বাংলাদেশের সাথে আধুনিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে পারি তা ছিল আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। আমাদের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল শহরে ছিল। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।