বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের জন্য ফুলব্রাইট স্কলার প্রোগ্রাম ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইউএস ব্যুরো অফ এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এই সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানিয়েছে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ফুলব্রাইটের শিক্ষা কার্যক্রম শুধু এই নির্দিষ্ট বছর নয়, গত ৪ বছর ধরেই এই বাংলাদেশে ফুলব্রাইট স্কলার বন্ধ আছে।
ইউএস ব্যুরো অফ এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্সের ওয়েবসাইটে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য ফুলব্রাইট স্কলার প্রোগ্রামের দেওয়া একটি ঘোষনায় বলা হয়েছে যে বাংলাদেশকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য মার্কিন স্কলার প্রোগ্রাম থেকে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ফুলব্রাইট কার্যক্রম উভয়মূখী হওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্সের লিংকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দেয়া বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। ওই স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশিদের জন্য ফুলব্রাইটের কার্যক্রম চলমান আছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার জন্য আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আগে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ১১ ডিসেম্বর ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, দূরশিক্ষণ, শিক্ষা প্রযুক্তি, জনস্বাস্থ্য, জীববিজ্ঞান ও ফার্মাসি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা-সম্পর্কিত সব শাখার বিস্তৃত বিষয়ে প্রস্তাবনা আহ্বান করা হচ্ছে। সব শাখায় প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রম উন্নয়ন-সম্পর্কিত চাহিদা নিরূপণ ও গবেষণা পরিচালনা, মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উন্নয়ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক বা প্রশিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং একাডেমিক পাঠ্যক্রম বা শিক্ষা উপকরণ প্রণয়ন ও মূল্যায়নে আগ্রহী শিক্ষকদের জন্য কিছু স্বল্পমেয়াদী অনুদানও প্রদান করা হবে। পেশাদারি দক্ষতার জন্য প্রার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
ফুলব্রাইট অনুদান সুবিধার মধ্যে আছে ফিরতি বিমানসহ যাতায়াত ভাড়া, শিক্ষাদান ও সংশ্লিষ্ট একাডেমিক ফি, কক্ষ, আবাস ও আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহে মাসিক বৃত্তি, বইপত্র ক্রয়ের ভাতা, স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বিমা, ভ্রমণ ভাতা ও অতিরিক্ত মালপত্রের ভাতা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হকের “বিচারবহির্ভূত” হ’/ত্যাকাণ্ডের সাথে বর্তমান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব-৭ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদকে যুক্ত করেছে। ২০১৮ সালের মে মাসে একটি নিষিদ্ধ দ্রব্য বিরোধী অভিযানের সময়।
র্যাব ছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার চীন, মায়ানমার এবং উত্তর কোরিয়া থেকেও কয়কজন বিশেষ ব্যক্তি এবং সংস্থার উপর ব্যাপক মানবাধিকার-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা সেন্সটাইম গ্রুপকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।