যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংস্থা ( ইউএসটিআর) নভেম্বরের মধ্যে সংশোধিত শ্রম আইন পাস করার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার বাংলাদেশের সঙ্গে টিকফা বৈঠকে এ অনুরোধ জানায় সংগঠনটির প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ওই বৈঠকে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান সচিব। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির জন্য শুল্ক সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।
তৈরি পোশাকসহ কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আইনমন্ত্রী এ সময় বলেন, বিনিয়োগ ও রপ্তানির স্বার্থে শ্রম আইনে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে দুটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই সংশোধনী প্রস্তাব দীর্ঘদিনের। তিনি আরো বলেন, এর সঙ্গে নির্বাচন সুষ্ঠু করার কোনো যোগসূত্র নেই।
ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সব খাতে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৬৩.৫ মিলিয়ন। তারা ৪২টি সেক্টরে কাজ করছে। এর মধ্যে পোশাক শিল্পে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩২ লাখ।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র। তাই কারখানাসহ এ খাতের শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকার নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে দেশটি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শ্রম আইনের তিনটি ধারার সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন সহজতর করা এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শ্রম আইন প্রয়োগ করা। এই দুটি প্রস্তাব ইতিমধ্যেই সরকার বাস্তবায়ন করেছে। তবে শ্রম আইনের ১৭৯ ধারার সংশোধন নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।