প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়াল রাজনৈতিক দলগুলোকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এ বহিরবিশ্বের সাথে অর্থৎ ইউক্রেনের ( Ukraine ) কিছু প্রশঙ্গকে নিয়ে তুলনা মুলক মন্তব্য করেছিলেন। নির্বাচনকে হানাহানি হিসেবে উল্লেখ করে ইউক্রেনের ( Ukraine ) প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রসঙ্গ তোলেন এবং ইউক্রেনের ( Ukraine ) প্রেসিডেন্ট পালিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি এমন উদাহরনের বিষয়ে যথারীতি অসন্তোষপুর্ন মনোভাব প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে অবস্থিত দেশটি দুতাবাস থেকে।
কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়ালের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাকায় অবস্থিত রুশ ( Russian ) দূতাবাস। সংশ্লিষ্ট এক বিবৃতিতে জানায যায়, সিইসির বক্তব্যের বিষয়ে ঢাকায় ( Dhaka ) রুশ ( Russian ) দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। পররাষ্ট্র দফতর একে সিইসির ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে অভিহিত করেছে। সিইসি কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়াল ২৮ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের ( Ukraine ) প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠ ছেড়ে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সিইসি ওই দিন বলেন, মাঠ ছাড়তে হবে না। মাঠে থাকুন। সেটা কঠিন হবে। ইউক্রেনের ( Ukraine ) জেলেনস্কি পালিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি করেননি। তিনি প্রতিরোধ যুদ্ধে লড়ছেন রাশিয়ার সঙ্গে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ( Dhaka ) নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মন্টিস্কি ( Alexander V. Montisky ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন। রুশ ( Russian ) দূতাবাস ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) অবস্থান সম্পর্কে সচেতন। সিইসির মতো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের মন্তব্যে বিস্মিত হয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন ইস্যুতে প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষ্যে কোনটাতেই বাংলাদেশ ভোট দেয়নি। বাংলাদেশ ‘অ্যাবস্টেইন’ ভোট দেয় (পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো অবস্থান নেই)। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নীতি ও কৌশলগত কারণে রাশিয়াও বাংলাদেশের ( Bangladesh ) অবস্থান সম্পর্কে সচেতন। একই সঙ্গে তারা তাদের প্রতিক্রিয়ার ওপরও নজর রাখছে। বাংলাদেশের ( Bangladesh ) বিচ্ছিন্ন অংশ এই ভোটের দিকে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন এবং রুশ ( Russian )ের মধ্য চলমান সামরিক অভিজান বন্ধকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভোট গ্রহনের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের মতামত সংগ্রহের আয়োজন করেন। জাতীসংঘের এই ভোটগ্রহন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সহ কিছু দেশ অশগ্রহন করেনি। বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ভোটগ্রহনে অংশগ্রহন না নেয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের ( Ukraine ) প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) সিইসি কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়ালের এই ধরনের তুলনামুলক মন্তব্য ইউক্রেনকে বিচলিত করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে যানা যায় ঢাকায় অবস্থিত রুশ ( Russian ) দুতাবাসের এক বিবৃতির মাধ্যমে। তবে এটি সিইসি কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়ালের ব্যাক্তিগত অভিমত বলে আখ্যা দেন বাংলাদেশের ( Bangladesh ) পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।