অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অহিংস পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে কথা বলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় বিষয়টি উত্থাপন করেছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ান সিনেটে দেশটির প্রভাবশালী সিনেটর ডেভিড শোব্রিজের এক প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বে থাকা প্রথম সহকারী সচিব (প্রিন্সিপাল) গ্যারি কেওয়ান একথা বলেন। .
ডেভিড শুব্রিজের দিনের প্রথম প্রশ্ন ছিল: বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ না হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, অনেক সরকারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে; তারা বিভিন্ন সময়ে তারা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন (বক্তব্য) উপস্থাপন করেছে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান সরকার কী উপস্থাপন করেছে?
জবাবে, অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গ্রুপের ডেপুটি সেক্রেটারি এবং দেশটির বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিসের প্রধান মিশেল চ্যান বলেছেন, তারা নিয়মিত এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন।
তারপর গ্যারি কেওয়ান বলেন যে, এটি দুটি উপায়ে করা হয়েছিল: প্রথমত, গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে কথা বলা। দ্বিতীয়ত, নিয়মিত অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অহিংস নির্বাচনের কথা বলা।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা (বাংলাদেশ) মন্ত্রী ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরেছি। যেখানে উপযুক্ত সেখানে বিবৃতি দেওয়ার জন্য আমরা অন্যান্য দেশের সাথে যোগ দিয়েছি। আমরা ক্যানবেরায় (অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী) বাংলাদেশ হাইকমিশনকে (এ বিষয়ে) নিযুক্ত করেছি। উদাহরণস্বরূপঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছি। আমরা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে এ নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবেরর সাথেও কথা বলেছি।
অস্ট্রেলিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিম ওয়াটসও গত মে মাসে বাংলাদেশ সফরে এ বিষয়টি তুলে ধরেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত আলাপচারিতায়ও বিষয়টি তুলে ধরেছি। আমরা ক্যানবেরায় বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি উত্থাপন করেছি।
ডেভিড শুব্রিজ তখন প্রশ্ন করেন, সহকারী মন্ত্রী ওয়াটস কি তার বাংলাদেশ সফরের সময় বিরোধী দলের (নেতাদের) ব্যাপক গ্রেপ্তার এবং সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থার দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন? এগুলো কি ওয়াটস সোজাসাপ্টাভাবে উত্থাপন করেছেন?
জবাবে গ্যারি কেওয়ান বলেন, ওয়াটসের সফর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি তুলে ধরেছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অহিংস হতে হবে।