হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি বলেছেন, বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছাকে সমর্থন করি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে পুরোপুরি বাস্তবায়িত দেখতে চাই। এসব উচ্চাকাঙ্ক্ষায় তাদেরকে চ্যাম্পিয়ন হতে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এসব ইস্যুতে আমাদের এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন- গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানবাধিকারের নামে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তারা এটা করতে চায় অন্য দেশগুলোতে হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি? মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, আপনার কাছে আমার আরও একটি প্রশ্ন আছে, আমি সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি বিশদ প্রতিবেদনের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
শিরোনাম ‘নিঃশব্দে গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে: বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বিচারের মুখোমুখি’। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূস বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর বিপরীতে, ১০০ টিরও বেশি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সহ ১৮০ জনেরও বেশি বিশ্ব নেতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। অধ্যাপক ইউনূস সম্পর্কে আপনার অবস্থান কী? এই প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি ওই মন্তব্য করেন।