কাজী হাবিবুল আওয়াল যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণ নিয়ে বক্তব্য দিতেগিয়ে বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাতে করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান বা যে দূরত্ব রয়েছে সেটা কমবে, আর এই জন্য নির্বাচন কমিশনের সকল ধরনের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। এদিকে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, সকল দলের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যেসব দ্বিমত রয়েছে সেগুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল এখনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিচ্ছে। তবে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো। যেন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়।
রোববার (৩রা জুলাই) বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কূটনীতিকরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান কমানোর ব্যাপারে আশাবাদী উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এটা একটা ট্রেডিশন, যে তারা এসেছেন। আগেও এসেছেন, এরই ধাবাবাহিকতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রম জানিয়েছি। তারা সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দেয়। সেজন্য নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক, গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু হলে তারা খুশি হবে, গোটা দেশ খুশি হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন হিসেবে আমরা যা যা করার সবই করবো। কমিশনের প্রস্তুতিতে তারা সন্তুষ্ট। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে যেকোনো সময় আসতে বলেছি।
প্রতিনিধিদল সহযোগিতার বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা সহযোগিতা করেছেন। তবে আমরা হুট করে কিছু বলিনি। আমরা বলেছি, আমাদের সহযোগিতা দরকার কি না, আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবো। যদি কোন প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রয়োজন হয়, আমরা তাদের জানাবো। আমরা এখনো কোনো সহযোগিতা চাইনি।
সক্ষমতা বৃদ্ধি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে কি না জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সবকিছুই নির্বাচন সম্পর্কিত। ভোটার শিক্ষা বা ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো সহযোগিতার আওতায় আসতে পারে। তবে আমরা এখনো সহযোগিতা চাইনি। প্রয়োজন হলে আমাকে জানান। ফলে কী ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বা আদৌ হবে না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সিইসি বলেন, তারা পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোমেটিক্যালি আলোচনা করে দেখতে পারেন। নির্বাচনকালীন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে আমি প্রতিনিধিদলকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।
এদিকে নির্বাচন কমিশনে আসা প্রতিনিধি দল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একটি গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের মাধ্যমেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দিবে কিনা সে সম্পর্কেও কথা বলেছে।