ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ হওয়ার সুবাদে প্রতিদিন বহু সংখ্যক বাংলাদেশি দেশটিতে প্রবেশ করে, যার কারন হিসেবে রয়েছে ব্যবসায়িক দিক এবং চিকিৎসা বিষয়সহ দেশটিতে থাকা এদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের আত্মীয়স্বজন থাকার বিষয়টি। তাছাড়া প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে পর্যটক হিসেবে দেশটিতে ভ্রমন করে বহুসংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক। এছাড়াও অনেক কারনে বাংলাদেশের নাগরিক দেশটিতে প্রবেশ করে থাকে। তবে এবার বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশে নতুন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
তবে বিধিনিষেধ আরোপের কারণ নিয়ে কিছু বলা হয়নি। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ জন বাংলাদেশি যাত্রীকে প্রতিদিন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এই বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্যে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে আইসিপির অভিবাসন দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হরিদাসপুরে আইসিপির অভিবাসন দপ্তরে। হরিদাসপুর দিয়ে সর্বোচ্চ ৪০০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে প্রতিদিন প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে মেডিকেল এবং ব্যবসায়ী ভিসা দেওয়া হচ্ছে। অভিবাসনের সময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করানো আবশ্যিক।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর দেশটিতে প্রবেশে বিধি নিষেধ আরোপের পর এবার এই ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করলো ভারত। তবে ঠিক কী কারনে এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি সংবাদ মাধ্যমটি। তবে মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই কারন সম্পর্কে জানা যাবে।