বর্তমান সরকারের উদ্যম কর্মতৎপরতায় সোনার বাংলা সত্যিই গড়ে উঠছে সোনার বাংলায়। তার একের পর এক বিশাল কর্মসূচি বাস্তবায়নে্ দেশ এখন বিশ্বের কোনো দেশের তুলনায় কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের ধারাবাহিক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বিশ্বমঞ্চে দেশের মর্যাদা সীমাহীনভাবে বেড়ে গিয়েছে। আসলেই এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি অর্জন। সম্প্রতি জানা গিয়েছে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে এডিবি।
চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এর সুদের হার হবে ০.৫ শতাংশ। এছাড়াও, এই সহায়তা 3 বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ 15 বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং এ তথ্য জানান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বাংলাদেশ সংকট মোকাবিলায় এডিবির কাছে 100 মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়েছিল। ৫০ মিলিয়ন ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া এ ঋণ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। প্রথম পর্বের ৫০ কোটির পর বাকি ৫০ কোটি নিয়ে আলোচনা হবে।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সফল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ব্যয় কমিয়েছি। এডিবি প্রকল্পগুলোকে তিনটি বিভাগে ভাগ করার কৌশলের প্রশংসা করেছে। বাজেট সমর্থন যে কোনো সময় উপলব্ধ. আলোচনা হচ্ছে কিছু শর্ত থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি টাকা ধার করেন, তা কখন পরিশোধ করা হবে তাও একটি শর্ত। তিনি বলেন, আমার বাড়ি হাওর এলাকায়। তাই আমি যে প্রজেক্ট টেনে নিয়েছি তা ভাবার কোনো কারণ নেই। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী এমন একটি প্রকল্প চান।
বৈঠক শেষে এডিমন গিনটিং বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এই ঋণ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা অনেক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ভালো আর্থিক ব্যবস্থাপনা করেছে।
তিনি আরও বলেন, হাওর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো উন্নয়নে জরুরি প্রকল্প গ্রহণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বের সব দেশের সম্পর্ক অনেক ভালো পর্যায়ে চলে গিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দিক উপকৃত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দক্ষ পরিচালনার জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে। দেশের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন গভীর ভালোবাসাই দেশের উন্নয়ন অনাকাঙ্খিতভাবে প্রসারিত হচ্ছে। দেশের মানুষ আশাবাদী ভবিষ্যতেই এই উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে।