আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবার বাংলাদেশকে নিয়ে দিয়েছে নতুন একটি দুঃসংবাদ। সম্প্ৰতি ‘সর্বজনীন পেমেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ক্যাশলেস বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন। ব্যাংকপাড়া নামে পরিচিত মতিঝিল এলাকা দিয়ে এই অভিযান শুরু হবে। আর সেখানেই বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলেছে বাংলাদেশে কমে যেতে পারে কর্মসংস্থান।
সংস্থাটি আরো জানায়, চলতি বছর বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চলমান অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়বে। এতে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনে এমন শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে বিশ্বব্যাংকসহ একাধিক সংস্থা বলেছিল, চলতি বছর সারা বিশ্বে মন্দার প্রভাব পড়বে। এ বিষয়ে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক পূর্বাভাস আসেনি।
আইএলও বলছে, এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি অর্ধেকে নেমে আসবে। এ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৩ শতাংশ। অর্থনীতির এই নিম্নমুখী প্রবণতা নিয়ে সবাই যা বলছে তা বলছে আইএলও। অর্থাৎ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ঋণ বৃদ্ধি হ্রাসের কারণে পরিস্থিতির অবনতি হবে।
‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক: ট্রেন্ডস ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থান বাড়বে মাত্র ১ শতাংশ। এর মানে হল এই বছর বিশ্বজুড়ে বেকার যুবকের সংখ্যা প্রাক-মহামারী আদর্শের চেয়ে প্রায় ১.১৬ মিলিয়ন বেশি হবে। এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বেকারের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৫ কোটি ৪১ লাখ, যা গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপ। কিন্তু সেখানে মন্দার কারণে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আইএলও। শ্রমবাজারে মন্দার কারণে পরিবারের ব্যয় ততটা বাড়বে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে দেশগুলির মধ্যে এবং মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে এবং মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার তাই খুব অসম।
আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ভারতের উচ্চ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের কারণে এই অঞ্চলের বৃদ্ধির পূর্বাভাস খারাপ নয়। যদিও ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ইতিমধ্যে এক পয়েন্ট কমে গেছে। আর্থিক খাতে অতিরিক্ত কড়াকড়ির কারণে দেশের প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমতে পারে।
প্রসঙ্গত, এ ছাড়াও এই প্রতিবেদনে ঝুঁকির খাত হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাকিস্তানে গত বছর প্রলয়ঙ্করী বন্যা হয়েছে।