সম্প্রতি বিভিন্ন অবৈধ্য কাজের সাথে জড়িত থাকার কারনে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় সেলিম খানকে। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে সংবাদ সন্মেলন করে ছেলিম খান বলেন দলের নিয়ম না মেনে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বিষয় গ্রহনযোগ্য নয়। তবে তার বহিষ্ককার দলীয় নিয়ম মেনে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
সীমাহীন দুর্নীতি ও পদ্মা-মেঘনা থেকে নির্বিচারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত চাঁদপুরের ‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম খান আওয়ামী লীগের বহিস্কারাদেশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি ক্ষমতাসীন দলের সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
রোববার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সেলিম খান দাবি করেন, তাকে দল থেকে বহিষ্কারের কারণ উল্লেখ করা হয়নি। দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে তাকে বহিষ্কারের করা হয়েছে। এতে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত ও হতাশ।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়া দলের কোনো পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাকে বহিস্কার কিংবা অব্যাহতি দিতে পারে না জেলা, উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। বহিষ্কারের বিষয়ে জেলা কমিটির সুপারিশের পর কেন্দ্রীয় কমিটি তদন্ত করলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে শনিবার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সভাপতি সেলিমকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত বহিষ্কারাদেশকে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, দলের গঠনতন্ত্র মেনেই সেলিমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বহিষ্কারের খবরে খুশি দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এক সময়ের রিকশাচালক এবং ‘ছিঁচকে চোর’ (স্থানীয়রা তাঁকে ডাকে চোরা সেইল্লা নামে) শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার ঘটনায় মানুষ ক্ষুব্ধ। তাকে গ্রেফতারেরও দাবি জানানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পরামর্শে সেলিম খানকে বহিস্কার করা হয়েছে।
সেলিমের সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দল হতে বহিষ্কিত নেতা সেলিম খানের দাবি তাকে দলীয় গঠনতন্ত্রের বাহিরে যেয়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এজন্য তিনি হতাশা প্রকাশ করেন এবং তিনি তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।