গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ভারতের সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এ পর্যন্ত মোট ১৪১ জন সাংসদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর সংসদ কক্ষে বৈঠক চলাকালীন নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে দুই যুবক হাম”লা চালায়। বাইরে তাদের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল কয়েকজন। এ ঘটনায় সংসদের বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য দাবি করেছেন। অমিত শাহের পদত্যাগও দাবি করেছে তারা।
এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে গত সপ্তাহে ১৪ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর সোমবার বিরোধীরাও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে। পরে আরও ১২৭ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়।
সংসদের চলতি অধিবেশনে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪১ জন বিরোধী দলীয় এমপিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ জন লোকসভার সাংসদ এবং ৪৬ জন রাজ্যসভার সাংসদ৷
খবর অনুযায়ী, গত সোমবার ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষ থেকে মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ১৪ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ভারতীয় পার্লামেন্টের অন্য কোনো অধিবেশনে একসঙ্গে এত সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়নি। এর মধ্য দিয়ে ভারতের সংসদ কার্যত বিরোধী-মুক্ত হয়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
শীতকালীন অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য বরখাস্ত হওয়া সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। সংসদের অভ্যন্তরে দুর্ব্যবহার, সংসদের অবমাননা ও স্পিকারকে অপমান করার অভিযোগে এসব সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
সাংসদদের বরখাস্তের বিষয়ে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি বলেন, সংসদে প্ল্যাকার্ড আনা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তারা (বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা) মরিয়া হয়ে এ ধরনের কাজ করছেন। তাই আমরা এই (বরখাস্ত) মোশন নিয়ে এসেছি।