সারাদেশের মানুষের চোখ এখন বন্যায় প্লাবিত মানুষদের দিকে। কিভাবে তারা জীবন যাপন করছে। আর যারা ভুক্তভোগী তারা চেয়ে আছে এ দেশের সরকারের দিকে। অনেকে খাবার ও পানির অভাবে ভুগছে। ঘর ছেড়ে অনেকে টিনের চালেও রাত কাটাচ্ছে বলে জানা যায় । অনেকের তো টিনের চাল নেই। তবে এই সময় সরকারের একটু সহানুভূতিও তাদরে কাছে সুখের বার্তা।
দেশের ১০টি জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মোঃ এনামুর রহমান। তিনি বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। বলা হয়, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার চরম মাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে আগামী দুই দিনে আমাদের দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। আগামী দুই দিন পানি কমতে শুরু করবে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলেও সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। উদ্ধার কাজ চলছে। পর্যাপ্ত টাকা ও খাবার আছে। আশা করি, টেকসই অবস্থানে থাকতে পারব।
গতকাল সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আগামী দুই দিনে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। সিলেট ও সুনামগঞ্জে মঙ্গল ও বুধবার থেকে পানি কমতে শুরু করবে। তবে সে সময় দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।
১৪ জুন থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যা ও ঊর্ধ্বাংশ থেকে নেমে আসা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি বর্ণনা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যা ও ভূমিধস ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এবারের বন্যায় সিলেটের ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের ৮০-৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গত দুই দিনে ওই এলাকায় চার ফুট থেকে আট ফুট পানি উঠেছে, যা কল্পনাতীত।
মন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। শনিবার (গতকাল) রাতের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এরই মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে নগদ ৬০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। যার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার। এছাড়া দুই এলাকায় দেড় হাজার টন চাল পাঠানো হয়েছে। আমার হাতে আছে ৫ কোটি টাকা। জিআর থেকে আরও ২০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। সবসময় খুঁজছেন. তার নির্দেশে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বন্যার কারনে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে এটি প্রকৃতির খেলা কারো হাত নেই এর উপর। তবে যারা ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য অনেকেই সহানুভুতি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক জেলা থেকে তাদের জন্য খাবার ও নিরাপত পানি পাঠাচ্ছে। তবে যে খাবার – পানি পাঠানো হচ্ছে সেটা তাদের জন্য যথেষ্ট নয় বলেও দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া অনেকের দাবি তারা এখনো পর্যন্ত কোন সাহায্য পায়নি।