ঢাকাই চলচ্চিত্র জগতের চিত্রনায়ক নীরব ও ইমন দুজন খুব নিকতম বন্ধু, যেটা তার ভক্তরা ভালোই জানেন। ইমনের বন্ধু নিরব ভারতীয় একটি মেগা প্রজেক্টের শুটিং সম্পন্ন করার জন্য গেল ৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে রাজস্থানে চলে যান। যদিও সেসব বিষয় নিয়ে এই মুহুর্তে তিনি কিছু বলতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৯ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরছেন এবং ফিরে আসার পর তিনি সবাইকে চমক দেওয়ার মতো সংবাদ দিবেন।
তবে ঢাকায় ফিরে এসে তিনি সবাইকে চমক দেওয়ার আগে বন্ধু ইমনের ফোন কল ফাঁ’স করার বিষয়টি শোনেন। তিনি এ বিষয়টি নিয়ে বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। তার চেয়েও বড় হলো এই ধরনের ঘটনা সত্যিকার অর্থে বিব্রতকর। আমি মনে করি ইমন পরিস্থিতির শি’কার হয়েছেন।’
সেখানে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে রাজস্থানের বিখ্যাত আজমির শরিফ দরগায় যান। সেখানে গিয়ে হাত তোলেন, প্রার্থনা করেন সবার মঙ্গল চেয়ে।
নিরব দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমনকে বলেন, ‘সত্যি বলতে রাজস্থানে আশার পরই প্রথম নিয়ত ছিল আজমির শরিফে যাওয়ার। কারণ আগে কখনও যাইনি। ইমনের খবরটি পাওয়ার পর মনটাও বিষণ্ণ হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে প্রশান্তি নিয়ে ফিরলাম দরগা থেকে।’
মঈনুদ্দীন চিশতির ঐতিহাসিক এই দরগায় গিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলেন নিরব। বললেন, ‘দরগার অনুভূতিটা- অন্যরকম। ঢোকার পর মনে হলো শরীরে এনেসথেসিয়া দেওয়া হলো! ঠাণ্ডা একটা অনুভূতি হলো শরীরজুড়ে।’
আজমির শরীফ কেন গিয়েছেন? উত্তরে নীরব বলেছেন, “আমি এখনে এসে হাত তুলে আমার দুই কন্যাদের জন্য দোয়া করেছিলাম। স্ত্রী, বাবা-মাও ছিলেন। অনেকে এখানে এসে সৃষ্টিকর্তার দরবারে হাত তুলেছেন। তবে এটাও সত্যি, আমি আমার বন্ধু ইমনের কল্যান চাই। সে যাতে কোনো কোনো ধরনের উটকো ঝামেলায় না পড়েন – সেটাও প্রার্থনায় ছিল, এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে গতকাল (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর আজমীর শরীফে যে সময় নিরব ব্যস্ত সেই সময়ে মক্কায় অবস্থান করছিলেন মাহিয়া মাহি। তিনি সেখান হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস’বুকে লাইভে এসে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আবারও দেশবাসীর নিকট আমি ছোট হয়ে গেলাম।