সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের রাজনীতিতে কিছুটা হলেও নাজুকতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের শেষ পর্যায়ে এসে কয়েকটি বিষয়ের উপর মানুষের বিরূপ ধারণা জন্ম নিয়েছে, যে সুযোগটি নিচ্ছে বিএনপি। এদিকে বিএনপি বারবার আন্দোলনের কথা বললেও তারা আন্দোলনে নামছে না। এবার বিএনপির দূর্বল দিক তুলে ধরলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
যে কোন সময় সরকার বিদায় নেবে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাওয়া এত সহজ নয়। বার-বার আওয়ামী লীগ দ্বারা বিদায় নিয়েছে বিএনপি। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নির্বাচন করে এবং ৩১ মার্চ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ সেই দল।
মঙ্গলবার বিকেলে ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বলে আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। এই ১৪ বছরে বিএনপি মহাসচিবের মুখ থেকে একটাই কথা শুনেছি। তবে আমি ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি বক্তৃতা, প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন। তাদের আর কোনো কাজ নেই।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রায় ১৪ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। বিএনপির ওপর কোনো নিপী”ড়ন করা হয়নি। কিন্তু বিএনপি সুযোগ পেলেই আমাদের ওপর জু”লুম করে। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা ও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে রাজার নীতি। রাজনীতি মানে বড় হৃদয় দেখানো। রাজনীতি মানেই প্রতি’শোধে লিপ্ত হওয়া নয়। আমরা এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই প্রবীণ নেতা আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ দলের ক্ষতি করতে পারবে না। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে হবে। যাতে ডাকলে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব ভালোভাবে দেশ চালাচ্ছেন। আজ সে গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করেছে। এই সরকারের আমলে মানুষ অনেক খুশি।
জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল্লাহ নজু, সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লীগের আহ্বায়ক মোঃ শাহে আলম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, সেচ্ছাসেব লীগের সভাপতি মো. আবু ছায়েম, ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রায়হান আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সকল ধরনের রাজনৈতিক দল তাদের দলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেদিক থেকে আ.লীগ তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত ভদলকে সুসংগঠিত করে চলেছে। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে, কারণ দলটি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচনে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।