দু/র্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মানাঙ্গাগওয়ার কর্মকাণ্ডের জন্য তার স্ত্রীকে নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যায়নি।
এই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ জব্দ করবে এবং তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে সেখানে ভ্রমণ করতে বাধা দেবে। বিবিসি খবর.
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার ছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও ১০ জিম্বাবুয়ের ব্যক্তি এবং তিনটি ব্যবসার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নতুন বিধিনিষেধ দুই দশক আগে শুরু হওয়া একটি বিস্তৃত প্রোগ্রাম প্রতিস্থাপন করবে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে জিম্বাবুয়ের উপর অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞাটি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে।
মূলত তাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন দেশের গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ এনেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশসহ বিভিন্ন দেশ জিম্বাবুয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ইতিমধ্যেই জিম্বাবুয়েতে “একাধিক অপহরণ, শারীরিক নি/র্যাতন এবং বেআইনি হ/ত্যা” উল্লেখ করেছেন যা মানুষকে “চরম ভয়ে” ফেলেছে।