Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক ছুটে গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়, দিলেন সুসংবাদ

এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক ছুটে গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়, দিলেন সুসংবাদ

প্রেমের টানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের ছুটে আসার ঘটনা প্রাইই ঘটছে, যেটা গনমাধ্যমে প্রায় দেখা যায়। এবার একটু ভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটলো, প্রেমের টানে বাংলাদেশে থেকে এক যুবক যুবক ছুটে গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়। জামালপুর শহরের বানিয়া বাজার এলাকার ঐ যুবক বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করছেন। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১০ নভেম্বর সেখানে তার প্রেমিকা সিতি মারিয়ার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।

রোববার (১৩ নভেম্বর) যুবকের পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়া ব্যক্তি জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক (২৭)। তিনি একটি বেসরকারি আইটি কোম্পানিতে চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত।

জানা যায়, তানজিলুর রহমান অর্ক ২৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মুসলিমা ডটকম নামের একটি সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। এরপর সিতি মারিয়া (২৩) নামে এক নারী তার সঙ্গে কথা বলেন। সিতি মারিয়া ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৪০ মিনিট যান পথের দূরত্বে জাবা প্রদেশের বাগার জেলার সেলতুন শহরে বাস করেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সিতি মারিয়া সবার বড়। তার বাবা ওমর একজন ব্যবসায়ী। শিক্ষা শেষ করে সিতি মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কোরআন-হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন।

এদিকে মুসলিমা ডটকমে পরিচয় হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কথা বলে প্রেমে পড়েন দু’জন। এরপর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে ১৮ অক্টোবর অর্ক আকাশপথে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দূরের একটি দেশে যাত্রা করে।

তানজিলুর রহমান অর্ক মোবাইল ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়ায় আসার কথা ছিল। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে ভিসা বন্ধ ছিল। ভিসা চালু হওয়ার পর আবারও ভিসা জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে এখানে আসতে দেরি হয়েছে। এখানে এসেও কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিয়ে করেছি।

তিনি আরো বলেন, সিতিকে বিয়ে করার পর তাকে বাংলাদেশের নেওয়া এবং দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নানা ধরনের আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন করতে বিভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হচ্ছে। এটি করার জন্য আমাকে আরও ছয় মাস এখানে অবস্থান করতে হবে।

প্রেমিকা সিতি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষেরা খুব মিশুক এবং সহজ-সরল। এখানে সমস্ত ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আমি বাংলাদেশ যাব।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *