সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে তরুণ-তরুণীরা। যার ফলে সমাজে নানা ধরনের অপরাধমূলক কান্ড ঘটছে। প্রেমের সম্পর্কে জুড়িয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার একপর্যায়ে বিপাকে পড়ে তরুণীরা। পরে বিষয়টি জানা জানি হওয়ায় পরিবারের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যার তৈরী হয়। এমন ঘটনা ঘটল এবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায়।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার চরপাড়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে এক কিশোরী।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে ফাজিলহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার বিকেলে প্রেমিক পায়েলের বাড়িতে যায় মেয়েটি। এ সময় বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থানের কথা শুনে ওই দিনই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় প্রেমিকা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ফাজিলহাটি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে পায়েলের সঙ্গে চলাফেরার সুবাদে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। এরপর দুজনে প্রেমে পড়েন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক পায়েল ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিছুদিন আগে মেয়েটি পায়েলকে বিয়ের কথা বললে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পপরে গত শনিবার বিকেল থেকে কিশোরী প্রেমিক পায়েলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় প্রেমিক।
কিশোরী জানান, পায়েল আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন বিয়ের কথা বললে তালবাহানা করছে। অনশন অবস্থায় আমাকে জোর করে কয়েকবার বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেকান্দার আলী জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে তিনি ওই বাড়িতে যাননি।
ফাজিলহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দু’পক্ষের লোকজনকে ডেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
প্রসঙ্গত, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জড়ায় ওই তরুণী। পরে বিয়ে করতে বলায় প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় অনশন করছে বলে জানায় ওই তরুণী।