কর্মসন্ধানে অনেক বাংলাদেশি যুবক -যুবতিরা বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায়। তবে এবার তাদের সাথে বিদেশের মাটিতেই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হটাৎ করে প্রায় ১৭০০ বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানোর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর গন মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
আগামী দুই মাসের মধ্যে সৌদি আরবের মদিনার একটি কোম্পানি প্রায় ১,৭০০ বাংলাদেশী কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠাবে। এরই মধ্যে বিয়া ক্লিনিং কোম্পানি নামের সংস্থাটি শ্রমিকদের এক্সিট ভিসা দেওয়া শুরু করেছে।
সংস্থাটি অভিযোগ করেছে যে শ্রমিকদের বহিষ্কার করা হবে কারণ তাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং তারা আইন ভঙ্গ করেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট ও মারামারির কারণে কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন শ্রমিকরা। কোম্পানিটি বাংলাদেশ থেকে প্রায় 2,300 কর্মী নিয়োগ করেছে।
সৌদি আরবে চ্যানেল 24-এর সংবাদদাতা সৈয়দ আহমেদ ভূঁইয়া বলেছেন, তারা দুই বছর আগে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া রোগের কারনে এর সময় টিকা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু এটি বাজারে আসার পর, বাংলাদেশি কর্মীরা ভ্যাকসিন না দেওয়ার আন্দোলন গড়ে তোলে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন দেশের ৬-৭ হাজার কর্মী কাজ করে। পরে জেদ্দা কনস্যুলেট বাংলাদেশ থেকে এ পদক্ষেপ বুঝতে সক্ষম হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করতেন। তারা কাজেও যেতেন না। এমনকি তারা মারামারিও করত। দোকান দখল নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারিও হয়।
অবশেষে, বুধবার, সংস্থাটি সেই ১,৭00 কর্মীদের জন্য প্রস্থান ভিসা প্রস্তুত করেছে। এ ছাড়া তাদের ভিসা, টিকিট তৈরি করে সেবার সুবিধাসহ পাঠাচ্ছেন। এটি করেছেন জেদ্দা কনস্যুলেটের শ্রম পরামর্শদাতা এবং প্রথম সচিব। তারা মদিনায় গিয়ে এই শ্রমিকদের বেতন দিতে কাজ করে।
তাবে তাদের ফের পাঠানোর জন্য ভিষার আবেদন করা হয়েছে। তাদের ভিষা এখনো রেডি নয় । তাই এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না যে তার কবে নাগদ দেশে ফিরবে। অন্যদিকে সৌদিতে বাংলাদেশের দূতাবাস এ বিষয়ে এখনো কনো তথ্য প্রকাশ করেনি।