নির্বাচন কমিশন (ইসি) ড. আলমগীর বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া প্রশাসনে কোনো রদবদল করা হবে না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ভারত ও রাশিয়াসহ ৩৪টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া চারটি প্রতিষ্ঠানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা যেসব দেশের নির্বাচন কমিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি সেসব দেশের কমিশনার বা কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এলে তাদের যাতায়াত খরচ, হোটেল ভাড়া ও আবাসন খরচের ব্যবস্থা করবে কমিশন। তবে তাদের ফ্লাইট খরচ বহন করা হবে না। এ ছাড়া অন্য সংগঠন বা সাংবাদিকরা এলে তাদের সব খরচ বহন করতে হবে।
রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বিক্রিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন ফরম কেনার সময় দলীয় কার্যালয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম আচরণবিধির আওতায় পড়বে না। কিন্তু মনোনয়ন ফরম কেনার সময় গাড়ি ও মোটরসাইকেল শোডাউন করতে পারছেন না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমন্ত্রিত সার্কের দেশগুলো হলো ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশর, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল ও থাইল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ওআইসির আমন্ত্রিত ১০টি দেশ হলো- আজারবাইজান, মালয়েশিয়া, মরিশাস, তিউনিসিয়া, ব্রুনাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত এবং সৌদি আরব।
জাপান, চীন ও সিঙ্গাপুরকে একক দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক), ওআইসি, দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়ার্ল্ড ইলেকশন বডিজ (এ-ওয়েব) ও ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সাউথ এশিয়াকে (ফিমবোসা) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।