বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় অনেকটা মৌখিক বিষোদাগারে পরিনত হয়েছে। অন্যদিক আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলগুলো প্রচার-প্রচারনায় নেমেছে, তবে বিএনপি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে হঠাতে আন্দোলন বেগবান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আ.লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। এবার এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
আমান উল্লাহ আমান ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে বলেন, “ভবিষ্যতে একটা খেলা অবশ্যই হবে। তবে সেটা হতে হবে নিরপেক্ষভাবে ও নিরপেক্ষ রেফারির অধীনে। সেই খেলায় খালেদা জিয়াই জিতবেন। নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, তা হতে দেওয়া হবে না।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে যৌথ কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাসাস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে সংগঠনের বাড্ডা, রামপুরা, হাতিরঝিল ও উত্তরা-পূর্ব থানার কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা; কিন্তু জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়িত্ব নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সা’জা ও আ”টক করা হয়েছে। অসুস্থ হলেও তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিং”সার শি”/কার। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনিও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিং”সার শি”কার। এই সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যখনই মানুষ রাস্তায় নেমেছে, প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে- তখনই গু”/লি চালিয়েছে। এভাবে হ”/ত্যা-গু”/ম, নি”র্যা”/তন-নিপী”/ড়ন করে তারা আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।
আমান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- আসল খেলা হবে ডিসেম্বরের নির্বাচনে। তিনি যদি আসল খেলা খেলতে চান তাহলে একজন নিরপেক্ষ রেফারির প্রয়োজন হবে। রেফারি পক্ষপাতদুষ্ট হলে খেলা কি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? শেখ হাসিনাকে (প্রধানমন্ত্রী) রেফারি রেখে ওবায়দুল কাদেররা খেলতে চান; কিন্তু শেখ হাসিনা তো নিরপেক্ষ রেফারি নন। ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি বানচাল করতে তারা গু”/লি চালিয়েছে, গ্রেফ”তার করেছে, ব্যানার কে”ড়ে নিয়েছে। এটা কি নিরপেক্ষ রেফারির কাজ? এই রেফারি থাকলে এবং তার অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ আর ভোট দিতে পারবে না।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না এবং হতে দেওয়া হবে না। তাই শেখ হাসিনার উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকার গঠন করা। তারা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। আগামীতে তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি কি অংশগ্রহণ করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা ক্ষমতায় আছে তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপি আবারও দেবে ছয়টি আসন। সরকারের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণ এবার এমন প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। প্রশাসনকে বলব- নিরপেক্ষ থাকুন, ভ”য় নেই। গু”ম-খু”/নের নির্দেশদাতাদেরই বিচার হবে।’
প্রসংগত, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় এখানে সংসদীয় পদ্ধতিতে আইন প্রনয়ন হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এবং তার রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ, ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে। রাজনৈতিক সহিং”/সতা, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত উদ্বেগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি পেয়েছে, যেটা অনস্বীকার্য।