জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা বাংলা সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে মাঝে মধ্যে আলোচনায় আসেন। যদিও তাকে এখন সিমেনায় পর্দায় আগের মত দেখা যায় না। সম্প্রতি একটি সিনেমার শুটিংয়ের বিষয়ে নিয়ে মন্তব্য করে যে কথা জানালেন তিনি।
সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ নামে একটি ছবির কো-প্রযোজক জেনিফার ছবিটির নায়িকা মাহিয়া মাহির নামে শুটিংয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রডাকশনের ছেলের নায়িকাকে তেল দিতে দেরি হওয়ায় তাকে বাদ না দিলে মাহি শুটিং করবে না বলে জানান। পরে প্রযোজক বাধ্য হয় ছেলেটিকে বাদ দেন।
প্রযোজকের অভিযোগের বিপরীতে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি বলেন, ঘটনাটা আসলে এমন না। বিকৃত করে বলা হচ্ছে। আসল ঘটনা জানলে সবাই প্রযোজকের দিকেই আঙ্গুল তুলবে। তবে আমি প্রযোজককে সম্মান করি। একটি ছবি শুধু প্রযোজকের একার নয়। এটা আমাদেরও ছবি। আশীর্বাদ চলচ্চিত্র একটি সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র। তাই আর্টিস্টরা অনেক কম পারিশ্রমিক নিয়েছি। কিন্তু সে তুলনায় আমরা সম্মান পাইনি।
মাহি আরও বলেন, এই ছবির পরিচালক মানিক ভাই একজন ভালো মানুষ। তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা রয়েছে। শুটিংয়ে যা ঘটেছে সবই তিনি জানেন। তিনি যদি বলেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। মাথা পেতে নেবো সব।
২০১৯-২০ অর্থবছরে, সরকার অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘আশীর্বাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। ছবিটি আগামী ১৯ আগস্ট মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এই মুক্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে ছবির নায়ক-নায়িকা কাউকে জানাননি প্রযোজক। কেনো বলেননি সেটার কারণ জানেন না মাহি। নায়িকার মতে, একটি সিনেমা আমার সন্তানের মতো, অথচ আমার চোখের সামনে সেই সন্তানটি মা/রা যাচ্ছে বিষয়টি আমাদেরও তো খারাপ লাগে।
ছবিটি নির্মাণের জন্য প্রযোজক ৬০ লাখ টাকা অনুদান পান। ছবিটি নির্মাতা মানিক নির্মাণ করবেন বলে এটা নিয়ে বাড়তি আগ্রহের জায়গা ছিলো মাহির। মাহি বলেন, এই ছবিটি ছিল আমাদের স্বপ্নের সিনেমা। নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চুক্তির প্রথম দিনেই আমাদের শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে, প্রযোজক ছাড়া ফেসবুকে কোনো ছবি পোস্ট করা যাবে না। এটা কি ধরনের নিয়ম? আমি এতগুলি সিনেমা করেছি এবং কখনও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি।
এদিকে ছবির নায়ক জিয়াউর রওশনও প্রযোজকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। নায়কের ভাষ্য, উনি অপেশাদার প্রযোজক, শুটিংয়ে খাবার ও পানিটাও তালা দিয়ে রাখতেন। ঠিকমতো খেতে দেননি।
প্রসঙ্গত, নতুন এ ছবিটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও সেটির প্রতি এখন আর কোনো আগ্রহ ও আশা কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তিনি প্রযোজকরে কর্মকান্ডে ব্যাপক বিরক্ত এবং নিরাশ।