দেশ থেকে বহু সংখ্যক মানুষ একটু সুখের আশায় পাড়ি জমায় প্রবাসে। দেশের বাইরে গিয়ে অর্থ উপার্জন করে একটু স্বচ্ছলতার সাথে জীবন যাপন করাই যেন তাদের উদ্দেশ্য। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জন করেন বৈদেশিক মুদ্রা। দেশে ফিরে সুখের বদলে অনেকের কপালে জুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন দুঃখে ভরা জীবন। প্রবাসীদের পারিবারিক কলহের বিষয়টি মাঝে মধ্যেই গনমাধ্যমে উঠে আসে। সম্প্রতি এক প্রবাসীর স্ত্রী কেটে ফেললেন তার স্বামীর বিশেষ অঙ্গ।
টাঙ্গাইলের সখীপুরের খোকন ( Khokon ) মিয়া (৩৫) ধা”রালো অ’/স্ত্রের আঘাতে বিশেষ অ”ঙ্গ কেটে পালিয়েছে তার স্ত্রী রুপা আক্তার ( Rupa Akhter ) (২৬)। অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাওয়ার পর খোকন ( Khokon ) মিয়াকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ( Tangail General Hospital ) ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( Dhaka Medical College Hospital ) নেওয়া হয়। শুক্রবার (১১ মার্চ ) সকালে উপজেলার ডান্ডিয়াপুর নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও তার স্বজনরা জানান, নয়াপাড়ার সোনা মিয়ার ছেলে খোকন ( Khokon )ের সঙ্গে প্রায় সাত বছর আগে ডান্ডিয়াপুর উত্তরপাড়ার ইসমাইলের ( Ishmael ) মেয়ে রুপার বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। এক মাস আগে দেশে আসেন খোকন ( Khokon ) মিয়া। দেশে আসার পর থেকে টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। টাকার হিসাব দিতে না পারায় স্ত্রী রুপা তার স্বামীর বিশেষ অ”ঙ্গ কে”টে পালিয়ে যায়।
খোকন ( Khokon )ের মামা খাজু মিয়া জানান, শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে খোকন ( Khokon ) চিৎ”কার করলে এলাকার লোকজন ঘরে ঢুকে খোকন ( Khokon )কে বেগতিক অবস্থায় দেখতে পায়। রুপা তখন বাড়িতে ছিল না। পালিয়ে যাওয়ার সময় রুপা তার স্বামী খোকন ( Khokon )ের পাসপোর্ট, আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কয়েক লাখ টাকা নিয়ে পা’লিয়ে যায়। আহ”তের খালা মর্জিনা বেগম ( Morzina Begum ) জানান, এ ঘটনায় সখীপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।সখীপুর ( Sakhipur ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ( Rezaul Karim ) বলেন, থানায় অভিযোগ পেয়েছি, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবাসীর মা কান্না করে বলেন, ‘অভাব-অনটনের সংসার ছিল, জমি বেইচা ছেলেডা বিদেশ গিছিল। কত কষ্ট কইরা টাকাপয়সা পাঠাইতো। সব টাকা ওর বউ উড়াইয়া দেছে। আমার ছেলে হিসাব চাইতে, ঘুমন্ত অবস্থায় আমার ছেলেটারে জীব’ন্ত মাই”রা দিলো। তাও আল্লার অশেষ রহমত, ছেলেটা এখনো বেঁচে আছে।এ ঘটনার ন্যায্য বিচার আমরা চাই।”