ব্রিটেনের হাইকোর্ট ওয়ার্ক পারমিট, কেয়ার ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসাধারী ব্যক্তিদের সরকারি আর্থিক সুবিধার বিষয়ে একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। এমনকি যদি নন-সেটেলড ভিসাধারীদের তাদের ভিসার শর্তাবলী এবং ভিসার বায়োমেট্রিক কার্ডে লিখিত পাবলিক ফান্ডের অ্যাক্সেস না থাকে, তবে তারা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বা সরকারী আর্থিক সুবিধা নিতে শর্তের বাইরে যেতে পারে। তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিসা বাতিল হবে।
আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে, হোম অফিস পর্যালোচনা করবে এবং খুঁজে বের করবে যে আবেদনকারী ভিসার শর্ত পূরণ করেছেন কি না। অস্থায়ী ভিসায় থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে যদি তারা ভিসার শর্তগুলি মেনে না চলে। যাইহোক, এই সুবিধা শুধুমাত্র একজন আবেদনকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে যদি সে বিশেষ পরিস্থিতি বা প্রতিকূল পরিস্থিতির সাপেক্ষে হয়।
কেয়ার, ওয়ার্ক পারমিট বা স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও সরকারী সুবিধা নিতে পারে, যদি আবেদনকারী তার বিশেষ মর্যাদা প্রমাণ করতে পারে।
যাইহোক, এই আবেদনের সুযোগের অপব্যবহার রোধ করার জন্য, কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে সুবিধা নিতে চাইলে হোম অফিস ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।
শুধুমাত্র যেখানে সন্তানের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয় যখন বিশেষ বা জরুরী পরিস্থিতিতে আয় বন্ধ বা প্রতিবন্ধী হয়।
হোম অফিসে নতুন ভিসা বা এক্সটেনশন ভিসার আবেদন মুলতুবি থাকাকালীন অস্থায়ী ভিসায় থাকা ব্যক্তি সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেন।
এর আগে, স্পাউস ভিসায় থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে সুবিধা নেওয়ার জন্য হোম অফিস নির্দেশিকা দিয়েছিল। তবে, নতুন ভিসার জন্য আবেদন করার সময় বা তাদের অঞ্চলে পরবর্তী ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সময়, আবেদনকারীকে সেই সময়ে বিদ্যমান ভিসার শর্ত পূরণ করতে হবে। হোম অফিস শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে এই শর্ত বিবেচনা করবে।
এ বিষয়ে লন্ডন চ্যান্সেরি সলিসিটরসের নেতৃস্থানীয় ব্যারিস্টার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, বিশেষ ও জরুরি পরিস্থিতিতেই এ সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। এই সুবিধা সবার জন্য নয়।