বাংলাদেশের নির্বাচন একটি আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দেশের নির্বাচনে বড় ধরনের অনিয়মের আশ’ঙ্কা বেড়েছে কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং সহিংসতা প্রতিদিনই বাড়ছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদ ওয়েবসাইট ওয়ান ইন্ডিয়াতে হিন্দিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে সবচেয়ে সক্রিয়। বাংলাদেশে নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেদিকে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২২ নভেম্বর পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, তার দেশ বাংলাদেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়, কারণ এটাই আমেরিকার নীতি। এর আগে, দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লুও তার চিঠিতে শর্ত ছাড়াই তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
‘শেখ হাসিনা আলোচনায় রাজি নন’ মন্তব্য করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় রাজি নয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) খু”নিদের দল বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও আওয়ামী লীগ গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান দখল ও সর্বত্র নিজস্ব লোক বসানোর অভিযোগ রয়েছে, তবুও দলটির টিকিট (মনোনয়ন) চাইতে বহু মানুষের ভীড়।
সবশেষে বলা হয়: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের অনুপস্থিতির কারণে নির্বাচনের ফলাফল শেখ হাসিনার পক্ষে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।