বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর ছাত্রলীগ যে ভাবে আক্রমন করেছে তা সত্যই বিপদজনক। এভাবে একের পর এক দুর্ঘটনা চালিয়ে যাচ্ছে এই সংগঠনটি কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে কোন ভূমিকায় নিচ্ছে না এটি রাজনীতির জন্য অশুভ লক্ষন বলে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ছাত্রলীগ এখন চাঁদাবাজ আর দানবলীগে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের হাতে বই-কলম তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, ছাত্রলীগ বই-কলম বাদ দিয়ে সারাদেশে দেশীয় অ/স্ত্র, হাতুড়ি, রাম দা ও আ/গ্নেয়াস্ত্র হাতে উঠিয়ে নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে।
বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বি/স্ফোরণে নি/হতদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ও আহতদের দেখতে গিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জোনায়েদ সাকির উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে তিনি এ বিবৃতি দেন।
ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স/ন্ত্রাসীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হা/মলা চালিয়ে তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। বাংলাদেশের প্রবীণ নাগরিকরা ছাত্রলীগের লাগাম ধরে রাখতে বারবার অনেক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। অথচ নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে কোমলমতি স্কুল-কলেজের স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হাতুড়ি ও হকিস্টিক দিয়ে রক্তাক্ত করার সচিত্র ছবি ও সংবাদ। দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হাতে নির্মম হামলা ও নি/র্যাতনের শিকার হয়।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র চর্চায় সব দল ও মতকে সমানভাবে কথা বলার অধিকার না দিলে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। দেশে তৈরি হয় স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রহীনতা। যার কারণে সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আপনার সরকারি সংগঠন ছাড়া বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনগুলোকে রাজনীতি করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পুলিশ ও ছাত্রলীগকে আপনার সরকার একাকার করে ফেলেছে। চট্টগ্রামে পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। যা সারা দেশে বিদ্যমান। দেশের মানুষ এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চায়। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের বিকাশ এবং ভবিষ্যতে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য জরুরি ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার অনুরোধ করছি।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রসঙ্গত, দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর আওয়ামীলীগের অংঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আক্রমন দেশে সুষ্ঠ রাজনীতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। অবিলম্বে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান ডা. জাফরুল্লাহ।